Beta
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

শুক্র-শনিবার সময় রাখুন ‘আড্ডা চলে’র জন্য

আড্ডা চলে’তে পাবেন পোশাক থেকে শুরু করে ব্যাগ, গয়না, কনমেটিকসসহ নানা পণ্য।
আড্ডা চলে’তে পাবেন পোশাক থেকে শুরু করে ব্যাগ, গয়না, কনমেটিকসসহ নানা পণ্য।
[publishpress_authors_box]

ডিসেম্বর-জানুয়ারি মানেই ঢাকায় উৎসব, মেলা, খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাঘুরির নানা আয়োজন। হালকা হালকা শীতে শহরের এখানে ওখানে ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। কিছু কিছু আয়োজনের জন্য তো অনেকে বছরভর অপেক্ষাও করে থাকেন। তেমনই একটি আয়োজন হলো, আড্ডা চলে।

মূলত এই অনলাইন-অফলাইন উদ্যোক্তাদের একটি প্রদর্শনী। কিন্তু নামের মতোই এখানে ক্রেতারা কেবল পণ্য কিনতে আসেন না। সারাবছর অপেক্ষার পর তারা আড্ডা চলেতে আসেন প্রিয় উদ্যোক্তার সঙ্গে আড্ডা দিতে, তাদের নতুন নতুন নকশা দেখতে, তাদের সঙ্গে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ভাগ করে নিতে।

আর সে কারণেই, প্রতি শুক্র-শনিবার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত মেলাগুলোর চেয়ে আলাদা আড্ডা চলে।

এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে আড্ডা চলে। যেখানে অংশ নিচ্ছে মোট ২৪টি উদ্যোগ। দেশিয় পোশাক থেকে শুরু করে ফিউশন, ঘর সাজানোর অনুসঙ্গ থেকে বই, কসমেটিকস আর গয়না; কী থাকবে না এখানে!

আগামী শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ জানুয়ারির ১০ ও ১১ তারিখ গুলশান আলোকিতে বসতে যাচ্ছে আড্ডা চলে। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে গেরম গরম কফির কাপ নিয়ে হাজির থাকবে কফি ট্র্যাপ। ছোট কিংবা বড়; সব ক্ষুধারই সমাধান মিলবে সেখানে।

এছাড়াও আর যে যে উদ্যোগ থাকলে এবারের আড্ডা চলে’তে, চলুন দেখে নিই সেগুলোর এক ঝলক।

ঈহা

ঈহার স্বত্বাধিকারী, ডিজাইনার ও আড্ডা চলের অন্যতম উদ্যোক্তা মৌরী নাজনীন বলছিলেন, ছোটবেলা থেকেই তার আঁকাআঁকির শখ। বড় হওয়ার সঙ্গে সেই শখটাকে নতুন মিডিয়ায় প্রতিস্থাপন করলেন। তার আঁকা ছবি কেবল দেয়ালে আটকে থাকবে না, সেটা সঙ্গে নিয়ে ঘোরা যাবে; এমন চিন্তা থেকেই ওয়্যারেবল আর্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন।

শুরুটা হয়েছিল হ্যান্ডপেইন্টেড শাড়ি ও পোশাক নিয়ে। এখন ঈহায় এর পাশাপাশি পাওয়া যায় স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট ও ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়ি, কামিজ, কুর্তি ও নিত্যদিন পরার মতো পোশাক।

ঈহার স্টলে পাওয়া যাবে তাদের নতুন উইং নৈ এর ডিজাইনার ব্যাগ আর স্টিচড ড্রেস।  

রংধনু ক্রিয়েশন

রংধনু ক্রিয়েশন ঐহিত্য আর আধুনিকতার মিশেলে কাজ করতে পছন্দ করে। তাই মসলিনের ওপর ময়ূর যেমন নাচে, তেমনি শাড়িজুড়ে ছড়িয়ে থাকে নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফুল। রোজকার পোশাকেও যেন কিছুটা নান্দনিকতা আর হাতের ছোঁয়া থাকে সেই চেষ্টাও থাকে। সেজন্য দেশি তাঁতের কাপড়ের কুর্তি কিংবা কাফতানে জুড়ে দেওয়া হয় নিপুণ হাতের কাজ, কিংবা তুলির আঁচড়।

ফিউশনের চেষ্টা থেকেই রংধনু রঙ-তুলি থেকে শাড়ির জমিন হয়ে রাঙিয়েছে আরও নানান ধরনের পোশাক। কখনও সুতোর ভাঁজে, কখনও পুঁতির বিন্যাসে গয়নায় এনেছে বৈচিত্র্য।

কুশন কভার, দেয়ালের পটচিত্র,শুকনো পাতার ক্যানভাসে হিল্লোল থেকে হালের ল্যাম্পশেড, সবই পাবেন এখানে।

ওয়্যারহাউজ

কারুকাজ, সংস্কৃতি এবং ভ্রমণের মিশেলে পোশাক তৈরি করে ওয়্যারহাউজ। মানসম্মত, আরামদায়ক এবং ভালো ফিটিংয়ের পোশাকে ইউনিক প্রিন্ট ও টেক্সচারের বৈচিত্র্যই ওয়্যারহাউজের পরিচয়।

টেকসই ফ্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী, পরিবেশ-বান্ধব পোশাক তৈরি করে এই ফ্যাশন হাউজটি, দামও তুলনামূলক সাশ্রয়ী।

ওয়্যারহাউজে পাওয়া যাবে বিভিন্ন নকশা ও প্যাটার্নের কুর্তি, কটি, জ্যাকেট, গাউন, শাড়ি ইত্যাদি।

উজ্জল রঙে ফিউশনধর্মী নকশা করা ওয়্যারহাউজের পোশাকগুলো বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়।

ম্যালাকাইট ক্যাসকেট

পেশায় চিত্রশিল্পী দুই বোনের উদ্যোগ দি ম্যালাকাইট ক্যাসকেট। এখানে মিলবে হাতে আঁকা শাড়ি, লেহেঙ্গা, সঙ্গে থাকছে কাঠের ক্লাচ। ফুল, পাতার মোটিফের সঙ্গে ক্ল্যাসিক ওল্ড মাস্টার পেইন্টিং, মুঘল মিনিয়েচারের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে দেশি পোশাকের সঙ্গে।

পদ্ম, গোলাপ থেকে শুরু করে নানান দেশি ফুল, তার সঙ্গে কখনও ফ্রিদা কাহলো, কখনও আবার ভ্যান গগের আইরিসেস, ক্লদ মনের ওয়াটার লিলির মতো ছবি থেকেও অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি হয় ম্যালাকাইট ক্যাসকেটের ওয়্যারেবল আর্টগুলো।

অরাম বাংলাদেশ

ব্লকের পাশাপাশি নানা নকশার কাজ করে অরাম বাংলাদেশ। এখানে পাবেন ব্লকপ্রিন্টের থ্রিপিস, ভিন্ন প্যাটার্নের কো-অর্ডসহ নানা কিছু।

ব্লকের রঙ আর কাপড়ের দিকে বিশেষ নজর দেয় অরাম। কারণ, টেকসই পণ্য তৈরির মাধ্যমে ক্রেতাকে দিতে চায় আরাম আর দীর্ঘদিন একটি পোশাক ব্যবহারের সুযোগ।

যারা আগামী ফাল্গুনকে সামনে রেখে রঙিন পোশাক কিনতে চান, তাদের জন্য আড্ডা চলে হতে পারে দারুণ সুযোগ।

রানঝুনি

পাহাড়ি আদিবাসিদের পোশাকের সঙ্গে সমতলের পোশাকের ফিউশন নিয়ে কাজ শুরু করেছিল রানঝুনি। দেশি আর ঐতিহ্যবাহী কাপড়, তন্তু ব্যবহার করে তৈরি করা হতো আরামদায়ক পোশাক। সেই সঙ্গে কাপড়ে থাকত আধুনিকতার ছোঁয়াও।

এবার সেইসব পোশাকের সঙ্গে হাতে তৈরি রঙিন পুতুল আর গয়নার সম্ভার নিয়ে আড্ডা চলেতে থাকবে রানঝুনি।

বক্স অব অর্নামেন্টস

বক্স অব অর্নামেন্টস কাজ করে ট্রাইবাল এথনিক জুয়েলরি নিয়ে, যা হাতে তৈরি। পাহাড় ও সমতলের গয়নার এক বৈচিত্র্যপূর্ণ মেলবন্ধনের দেখা মেলে এই উদ্যোগে।

গয়নায় ব্যবহার করা হয় চাকমাদের কোমর তাঁতে বোনা রেয়ন সিল্ক। আদিবাসী গয়নার মূল মোটিফ ঠিক রেখে তাতে আধুনিকতা যোগ করা হয়, যেন তা সহজেই পৌঁছতে পারে তরুণ প্রজন্মের কাছে।

কারখানা

পাথর, ধাতু আর রেজিন দিয়ে নিজস্ব নকশায় গয়না তৈরি করে কারখানা। দেশি কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি নিখুঁত এই গয়না প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের সংস্কৃতির, কৃষ্টির।

আংটি, চুড়ি, বালা, নেকলেস, কানের দুলসেহ বিভিন্ন ধরনের অনুষঙ্গ পাওয়া যাবে কারখানায়। হালকা নকশা ও ঐতিহ্য-আধুনিকতার মিশেলের কারণে কারখানার গয়না প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য অনেকের কাছেই ভীষণ জনপ্রিয়।

বেনে বৌ

বাংলাদেশের জি.আই পন্য জামদানি নিয়ে কাজ করে বেনে বৌ। জামদানি শাড়ি কাস্টমাইজড যেমন করা হয় তেমনি আপসাইকেল ও জামদানি ডাইভার্সিফাইড পণ্যও বেনে বৌয়ের কাজের অংশ।

আপসাইকেল পণ্যের মধ্যে পাওয়া যাবে জামদানি ওয়াল ফ্রেম, জামদানি গয়না, চুড়ি, টিপ, প্যাচওয়ার্ক স্টোল, কোটি ইত্যাদি। আর ডাইভার্সিফাইড পণ্যের মধ্যে আছে জামদানি জ্যাকেট, জামদানি ব্যগ, কুর্তি, জামদানি শাল, জামদানি জুতা।

আইজা
পোশাকের এই ব্র্যান্ডটি ঐতিহ্যবাহী দেশি ফ্যাশনের সঙ্গে আধুনিক নান্দনিকতার মেলবন্ধন ঘটায়। পোশাকের স্থায়িত্বের জন্য আইজা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে কারণে পরিবেশবান্ধব, ত্বক-বান্ধব পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করে উদ্ভিজ্জ রঙ।

আইজার প্রতিটি পোশাক তৈরির পেছনে থাকে দক্ষ কারিগরদের যত্ন। নারীরা যেন টেকসই এবং সাংস্কৃতিকভাবে অনুপ্রাণিত ফ্যাশনের মাধ্যমে স্বকীয়তা উদযাপন করতে পারেন, সেটিই এই ব্র্যান্ডের লক্ষ্য।

আর্টোপলিস

বাঙ্গালিয়ানা বোধ আর পরিচয়ের বড় অংশ টিপ। সেই টিপকে ভিন্ন আঙ্গিকে বাংলাদেশের যে কয়টি উদ্যোগ তুলে ধরেছে, আর্টোপলিস তার অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রে পথিকৃৎও বলা যেতে পারে।

বিশেষ করে টিপের সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ধাতব উপাদান মিলিয়ে নকশা করার ক্ষেত্রে আর্টোপলিসের বড় ভূমিকা রয়েছে। টিপের ছোট্ট ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা ধরনের চিত্র। সেইসঙ্গে কাপড় আর বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি রঙিন গয়নাও পাওয়া যাবে আর্টোপলিসে।

শাড়িকথন

২০১৮ সাল থেকে শাড়িকথনের যাত্রা। স্থানীয় কারিগরদের নিপুণ কারুশিল্পের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন জুট ও ডেনিমের পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্যাশনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে শাড়িকথন।

ন্যাচারাল ডাই, নিজস্ব নকশা এবং টেকসই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্যাশনেও পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল থাকার বার্তা দেয় উদ্যোগটি।

ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও ফিউশন পোশাকের মাধ্যমে বাংলার শিকড় ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চট, ডেনিম, জামদানি, সুতি, মনিপুরি এবং বাটিকের মতো টেকসই উপকরণ দিয়ে পণ্য তৈরি করা হয়।

সহযোগী ব্র্যান্ডের মাধ্যমে লুঙ্গি ও পুরুষদের ফিউশন পোশাকেও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে নতুনত্ব।

দয়িতাকথন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় জামদানিকে সবার হাতে সহজে ও সুলভে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে দয়িতাকথন। নানান নকশার পাশাপাশি বিভিন্ন দামের জামদানি পাওয়া যাবে এখানে। দয়িতাকথন চেষ্টা করে সব মানুষের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করতে। তাই সেভাবেই সাজানো হয় পসরা।

অনন্যা

শাড়ির প্রধান অনুষঙ্গ ব্লাউজ নিয়ে কাজ করে অনন্যা। আরামদায়ক ম্যাটেরিয়ালে মৌলিক ধারা এবং ফিউশনের মাধ্যমে ব্লাউজকে ফ্যাশনেবল করার চেষ্টা করা হয়।

বিভিন্ন ধরনের কাটিং, নেক ডিজাইন, স্লিভ, প্যাটার্ন এবং ফেব্রিকে হ্যান্ডএম্ব্রয়ডারি, ব্লক প্রিন্ট, মেশিন এম্ব্রয়ডারি ইত্যাদির মাধ্যমে সব বয়স এবং সব সময়ের জন্য উপযোগী বিভিন্ন ব্লাউজ নকশা করে অনন্যা।

অনন্যার নান্দনিক ব্লাউজগুলো যেকোনো সাদামাটা শাড়িকেও করে তুলতে পারে অনন্য।

আড্ডা চলেতে থাকবে রেডি ব্লাউজ, থাকবে হাফ স্টিচ ব্লাউজও। আর যেকোনো সময় অর্ডার দিয়ে কাস্টমাইজ করার সুযোগ তো থাকছেই।  

ঢাকা কমিক্স

বইয়ের ডালি নিয়ে আড্ডা চলেতে থাকবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কমিক্স। যার বিভিন্ন কমিক চরিত্র এখন শিশু-কিশোর-তরুণদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়।

সো-নো-মি

দেশে অথেনটিক কসমেটিকসের সহজপ্রাপ্যতার নিয়ে সংকটের আলোচনা থেকে যাত্রা শুরু সো-নো-মি’র। জাপানি এই শব্দটির অর্থ, Garden of Hope.

সো-নো-মিতে পাওয়া যাবে শতভাগ অথেনটিক স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট, কালার কসমেটিকস, বেবি কেয়ার প্রডাক্টসহ নানা কিছু। লিপস্টিক, আইশ্যাডো, ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু, হেয়ার কেয়ার প্রডাক্ট থেকে শুরু করে ডিক্যাফ কফি কিংবা ফ্লেভার্ড টি-ও পাওয়া যাবে এখানে।

আরুনিকা

আরুনিকা তৈরি করে কাঠের ঘর সাজানোর সামগ্রী, বোর্ড গেম যেমন লুডু, দাবা, মনোপলি, পাজল, হাতে তৈরি গয়না, গয়নার বাক্সসহ নানা ধরণের পণ্য।

বিশেষ করে বোর্ড গেমগুলোর অভিনবত্ব আরুনিকাকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা করেছে।

আরুনিকার সব পণ্যই পরিবেশবান্ধব, বাংলাদেশে তৈরি। স্মার্টফোন আর কম্পিউটার গেমসের ভীড়ে হারিয়ে যেতে বসা সনাতন বোর্ড গেমগুলোকে নতুনভাবে তুলে ধরতেই তাদের এই উদ্যোগ।

পাশাপাশি পাওয়া যাবে কাঠের ব্যাংক, ক্যালেন্ডার, পাজল ফটোফ্রেম, ওয়ালহ্যাংগিং, কাঠের ঘড়ি উত্যাদি।

সীমন্তিনী

মনিপুরী তাঁতের শাড়ি, ওড়না, শালের পাশাপাশি মনিপুরী ফেব্রিকে ফিউশন স্টিচড পোশাক তৈরি করে সীমন্তিনী। পাওয়া যায় ন্যাচারাল ডাই, কেমিকেল ডাইয়ের পোশাক, শাড়িও।

সেই সঙ্গে হাতে তৈরি গয়নাও সীমন্তিনীর বিশেষত্ব।

লিটল ক্রিয়েশনস বাই আফরিন

বিডস, রেজিনের সঙ্গে আসল ফুলের ফিউশনে ছোট ছোট অভিনব গয়না তৈরি করে লিটল ক্রিয়েশনস বাই আফরিন। এছাড়া কাপড় ও মেটাল চার্ম দিয়ে তৈরি করা সাধারণ নকশার গয়নাও পাওয়া যাবে সেখানে।

অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ

ফিউশনধর্মী ও এক্সপেরিমেন্টাল কাজের পরিচিত অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ। নীরিক্ষা করতে গিয়েই তৈরি হয়েছে পিনটাক স্টিচড শাড়ি, ডেনিম শাড়ি। সম্প্রতি কাজে যুক্ত হয়েছে জামদানি স্যুভেনির। আর এ সবই পাওয়া যাবে আড্ডা চলেতে।

সুহা জুয়েলারি

পাথর আর মুক্তার গয়নায় ভিন্নতা ও আধুনিকতা নিয়ে এসেছে সুহা জুয়েলারি। প্রতিটি গয়নাতেই থাকে নিজস্বতার ছোঁয়া, থাকে ভিন্ন নকশার কারুকাজ। ছোট এবং প্রতিদিন ব্যবহারের মতো নানা ধরনের গয়না পাওয়া যাবে এখানে।

ওল্ড স্কুল আর্ট রুম

সম্পূর্ণ বাংলাদেশি পণ্য আর উপকরণ নিয়ে কাজ করে ওল্ড স্কুল আর্ট রুম। হাতে আঁকা নান্দনিক আর অনন্য পণ্যের সম্ভার নিয়ে থাকবে আড্ডা চলেতে। শাড়ির পাশাপাশি থাকবে তৈরি পোশাক, হোম ডেকর এবং ন্যাচারাল ডাই দিয়ে তৈরি নানা পণ্য।

দেশি উদ্যোক্তাদের অনন্য সব পণ্য এক ছাদের নিচে পেতে চাইলে যেতে হবে গুলশানের আলোকিতে। আগামী শুক্র ও শনিবার দিনভর উদ্যোক্তারা নিজেদের সেরা পণ্যটি নিয়ে থাকবেন আপনার অপেক্ষায়।

আড্ডা চলেতে থাকবে কার্ডে পেমেন্টের ব্যবস্থা, থাকবে ছবি তোলার জন্য ফটোবুথ। সবার জন্য লাইভ ক্যারিকেচার আঁকার সুযোগও থাকবে উৎসব প্রাঙ্গণে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত