Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে ‘শহীদি মার্চ’

গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের এক মাস পূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের এক মাস পূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের মাসপূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অংশ নেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসেছিলেন ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউশনের ছাত্র তৌকির। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে আর এই রকম অবস্থা চাই না। আমরা একটা ভালো দেশ চাই।”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলন থেকে সৃষ্ট গণঅভ্যুত্থানে গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে অন্তত সাড়ে ৬০০ মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়-ইউএনএইচসিআর। অবশ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি।

সেই নিহতদের স্মরণেই ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

দুপুরে ফেইসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, “আজ থেকে প্রায় এক মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ পাওয়ার এক মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা আমাদের হাজারেরও বেশি ভাইকে হারিয়েছি; যারা শহীদ হয়েছেন। 

“আমরা অসংখ্য ভাইকে আহত অবস্থায় এখনও হাসপাতালে দেখতে পাই। অনেকের হাত নেই, অনেকে তাদের পা হারিয়েছেন। অনেকে চোখ হারিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে আমাদের মনে হয়েছে-আমরা কীভাবে আমাদের এই ভাইদের জন্য কী করতে পারি, কীভাবে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারি।”

সারজিস বলেন, “যে ক্ষতি তাদের পরিবারের হয়ে গেল, এই পার্থিব দুনিয়াতে সেটি পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে ন্যূনতম শ্রদ্ধা জানাতে পারি। দোয়া করতে পারি। সেই জায়গা থেকে আজকে আমরা একটি শহীদি মার্চ আয়োজন করেছি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ‘শহীদি মার্চ’ এর মিছিল শুরু হয়ে নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান, মানিক মিয়া এভিনিউ (সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে), ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্য দিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পাবনা, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায়ও এই কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত