সাকিব আল হাসানের দেশে ফেরা নিয়ে নাটক চলছেই। বৃহস্পতিবার রাতে তার আসার কথা থাকলেও সবশেষ খবর অনুযায়ী নিরাপত্তার স্বার্থে সাকিবকে আপাতত দেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজ ১৭ অক্টোবর বিসিবি প্রতিনিধিদের এক মিটিং শেষে সাকিবকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
তাই সম্ভাবনা জাগলেও মিরপুর টেস্টে সাকিবের খেলা হচ্ছে না বলেই ধরা যায়। গত কিছুদিন ধরে সাকিব বিরোধী একটি পক্ষ তাকে মিরপুর টেস্টে খেলতে না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। সেই হুমকির কারণেই সাকিবের দেশে ফেরা আটকে গেছে। তাহলে বলাই যায়, দেশের মাঠে খেলে সাকিবের বিদায় নেওয়া হচ্ছে না।
১৭ অক্টোবর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তিন প্রতিনিধি ও বিসিবি প্রধান নির্বাহী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন সাকিব। সেখানেই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তার কারণেই সাকিবকে আপাতত দেশে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টি সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি সূত্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। তাই বুধবারই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইতে পৌঁছেছিলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় দেশে ফেরার বিমানে ওঠার কথা ছিল তার। কিন্তু দুবাইতে অবস্থানকালে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় সেখানেই আটকে গিয়েছেন সাকিব।
তাই বাংলাদেশ আসার বিমানে চড়ার অপেক্ষায় থাকা সাকিব যথাসময়ে বিমানে উঠতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। একই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ম্যাচ নির্বিঘ্নে হওয়া নিয়েও। অবস্থা অনুযায়ী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে তিনজন প্রতিনিধি গিয়েছিলেন বিসিবিতে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দুজন সহকারী ও প্রেস সচিব গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের আলোচনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সকাল সন্ধ্যা।
সাকিববিরোধীদের বাধা দুই সপ্তাহ ধরেই আলোচনায় ছিল। সাকিব দেশে ফিরতে পারেন এমন খবর জানার পরই ভারত সিরিজ চলাকালীন মিরপুরে স্টেডিয়ামের দেয়ালে সাকিববিরোধী স্লোগান লিখে যায় একদল যুবক। দুদিন আগে ওই স্লোগানগুলো সাদা রং দিয়ে মুছে দিয়েছিল বিসিবি।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তার আয়োজন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়ামে। সকালে পুলিশের কে৯ ডগস্কোয়াড দিয়ে পুরো স্টেডিয়াম সার্চ করা হয়। এরপর র্যাব মহড়া দিয়েছে। আর দুপুর থেকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।