এমন খবর আসার কথাই ছিল। সাকিব আল হাসান এবার তা শুনলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিযুক্ত ঘোষণা হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও দেশের বাইরে কোন ধরণের ক্রিকেটেই বোলিং করতে পারবেন না তিনি। রোবিবার আইসিসির নির্দেশনা পেয়ে বিসিবি এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা সাকিব এই প্রথম বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। ২ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের লাফবোরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সাকিব।
ওই পরীক্ষার ফল ত্রুটিযুক্ত আসায় সাকিবের ওপর প্রথম বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসিবি। এবার জানা যায় আইসিসির ১১.৩ ধারা অনুযায়ী কোনো একটি ক্রিকেট বোর্ড কোন বোলারকে বোলিং অ্যাকশন সমস্যার কারণে তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী হয়, তাহলে অতিরিক্ত কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, সব জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন এবং তাদের অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
আইসিসি এ বিষয়টি বিসিবিকে জানিয়েছে। বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিসিবি আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ’সাকিব আপাতত বোলিং করতে না পারলেও তিনি সব ধরনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। বিসিবি জানে যে, সাকিব শীঘ্রই তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ করার চেষ্টায় একটি আইসিসি স্বীকৃত পরীক্ষা কেন্দ্রে পুনর্মূল্যায়নের জন্য যাবেন।”
সাকিব বর্তমানে খেলছেন লঙ্কা টি-১০ টুর্নামেন্টে, গল মার্ভেলসের হয়ে। সেখানে আইসিসির ঘোষণা আসার আগে একটি ম্যাচে বোলিং করেছেন সাকিব। তবে সামনের ম্যাচগুলোতে আর বোলিং করতে পারবেন না।
সাকিবকে এখন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা যে কোন স্বীকৃত একটি বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাগারের স্বরনাপন্ন হতে হবে। সেখানে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। আপাতত তিনি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই লঙ্কা টি-১০ টুর্নামেন্ট বা অন্য যে কোন টুর্নামেন্টে খেলবেন। অবশ্য বাংলাদেশে সাকিবের বোলিং করতে বাধা নেই।