২০০৬ সাল থেকে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে একটা কথাই স্পষ্ট ছিল। ব্যাটিং-বোলিং দুই দিকে পারদর্শী সাকিবে একসঙ্গে দুজন খেলোয়াড় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দল সংশ্লিষ্ট বা দলের বাইরের যে কেউ এ বাক্যে স্বীকার করেছেন। এতদিন পর সেই সুরটা কেটে গেছে।
সাকিব এখন আর সাব্যসাচী নন। তিনি শুধু ব্যাটসম্যান। সাকিবের কাছ থেকে “একের ভেতর দুই” সুবিধাটা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাই সাকিবকে আর দলে দরকার নেই!
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার দিনে সাকিবকে না রাখার ব্যাখ্যা তাই কোন দ্বিধা ছাড়াই দিতে পারলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, “সাকিবের বোলিং অ্যাকশন টেস্টের ফলাফল খুবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতিবাচক হওয়ায় সে এখন ক্রিকেট শুধু একজন ব্যাটার হিসেবেই খেলতে পারবেন। আমাদের এই দলে সমন্বয় করতে গিয়ে শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে (সাকিব) আমরা এই ১৫ জনে জায়গা দিতে পারিনি।”
সাকিবের জায়গায় এতদিন কাউকেই পাওয়া যায়নি। এখন সাকিব জায়গা পাচ্ছেন না। সময়টা এভাবেই ঘুরে গিয়েছে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের জন্য। সাকিব ব্যাটিং অর্ডারে তিন থেকে পাঁচ এই তিনটি পজিশনে ব্যাটিং করেন।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী তিনে খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে তাওহিদ হৃদয় আর পাঁচে মুশফিকুর রহিম। ফর্ম যেমনই হোক অপরিহার্য ও ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে দলে এই তিনজনের ব্যাটিং অর্ডার বদলের সুযোগ নেই।
আগে সাকিব থাকা অবস্থায় শান্তর পরে চারে নেমেছিলেন। কিন্তু ওই সময় সাকিব দলের অপরিহার্য বোলার। এখন সাকিবকে একাদশে রাখতে হলে একজন পেসার কম খেলিয়ে দুই জনে নামতে হবে। যা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ করেনি। সবসময় তিন পেসার নিয়েই খেলেছে।
আবার পেসার বাড়তি থাকলে একজন স্পিনার কম খেলাতে হবে “ব্যাটসম্যান” সাকিবের জন্য। অলরাউন্ডার কোটায় মেহেদী হাসান মিরাজ একাদশে থাকলেও বাদ পড়বেন নাসুম আহমেদ বা রিশাদ হোসেন। তখন বোলিং করতে হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। বড় মঞ্চে পার্টটাইম স্পিনার দিয়ে পুরো ১০ ওভার করানোর ঝুঁকি নেবে না বাংলাদেশ।
তাই কোন ভাবেই জায়গা হলো না “ব্যাটসম্যান” সাকিব আল হাসানের।