লড়াইটা রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের। দলীয় খেলায় এই লড়াইটা তো সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালেরও। সাম্প্রতিক সময়ে দুই তারকা ক্রিকেটারের সম্পর্কের টানাপোড়েন বিপিএলের দল দুটির লড়াইয়ে ছড়িয়েছে আলাদা উত্তাপ। সেই লড়াইয়ে সাকিবের প্রথম বলেই আউট তামিম। তবে তাদের দ্বৈরথের মঞ্চ আলোকিত হয়েছে আবু হায়দারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেছেন রংপুরের এই বাঁহাতি পেসার। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৫ উইকেট। আবু হায়দারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্লান হয়ে গেছে সাকিব-তামিমের পারফরম্যান্স। তার আগুনে বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করেছে বরিশাল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দুই ওপেনার তামিম ও টম ব্যান্টন মিলে ৪.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৩৮ রান। কিন্তু সাকিব বল হাতে তুলে নিতেই ছন্দপতন বরিশালের। নিজের প্রথম বলেই আউট করেন তামিমকে। বরিশাল অধিনায়ক ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করে বিদায় নেন।
তামিম ফেরার পরও রানের চাকা সচল থাকে ব্যান্টন ও কাইল মায়ার্সের ব্যাটে। তাদের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটে ১১০ রান পর্যন্ত যায় বরিশাল। কিন্তু ব্যান্টন ২৬ রান করে ফেরার পরই সব এলোমেলো। আবু হায়দারের তোপে ভেঙে পড়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইন-আপ। এই পেসার এক ওভারেই নেন ৩ উইকেট। একে একে ফেরান মুশফিকুর রহিম (৫), সৌম্য সরকার (০) ও মায়ার্সকে (৪৬)। পরে মাহমুদউল্লাহ (৯) ও মেহেদী হাসান মিরাজকে (৩) আউট করে স্মরণীয় এক দিন কাটিয়েছেন তিনি।
এতদিন টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রানে ৪ উইকেট ছিল আবু হায়দারের সেরা বোলিং। এবার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৫ উইকেট। তার রংপুর সতীর্থ সাকিব ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট।