বাড় রানের পথে বাংলাদেশের বড় বাধা ওপেনিং জুটি। প্রথম উইকেটে দলের বোর্ডে ভালো স্কোর খুব কম আসে। তার কারণ ওপেনারদের বাজে ফর্ম। খুব ভালো ফর্মে থাকা ওপেনার তামিম ইকবালের পর আসছেই না।
ফর্ম না থাকায় ২০১৫ সালে অভিষেকের পর প্রথমবার আইসিসি টুর্নামেন্ট মিস করছেন লিটন দাস। এই ব্যাটারের অনুপস্থিতি ইনিংসের শুরুতে প্রতিযোগীতা কমিয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এক নম্বর চয়েজ হয়ে নামছেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার।
ভালো খবর খুব সম্প্রতি এ দুই ওপেনারের ব্যাটে রান আছে। বিপিএলে দল খারাপ করলেও ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে ব্যাটে ভালো সময় কেটেছে তামিমের। ১২ ম্যাচে ৪৮৫ রানে হয়েছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা রান সংগ্রাহক।
ওদিকে সৌম্য তার ক্যারিয়ারে প্রথমবার এতটা ধারাবাহিক হয়ে উঠেছেন। বিপিএলের আগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে ভালো করেছেন। আফগানিস্তান ও উইন্ডিজের সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতেও রান পেয়েছেন। ইনজুরি থেকে ফিরে বিপিএলে মাত্র ৪ ম্যাচে করেছেন ১০৫ রান।
অধিনায়ক শান্ত তাই দুই ওপেনারের ব্যাটে ভরসা রাখছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমি ওদের নিয়ে আশাবাদি। বিপিএলে তামিম দারুণ করেছে। এই টুর্নামেন্টেও ওর কাছে ভালো রান আশা করছি। আর সৌম্য গত দুটি সিরিজে এই ফরম্যাটে রান পেয়েছে। ইনজুরি না হলে ওর ছন্দটা থাকতো। তবুও অভিজ্ঞতার বিচারে ওর কাছেও আমি রান আশা করছি।”
শুধু ওপেনাররাই নয়। অলরাউন্ডাররাও বাংলাদেশের শক্তি বলে মনে করেন শান্ত। গত কিছুদিনে সাকিব আল হাসান না থাকায় কম্বিনেশন মেলাতো কোন ম্যাচে ৫ আবার কোন ম্যাচে ৪ জন স্পেশালিস্ট বোলার নিয়ে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তখন পার্টটাইম স্পিনারের কাজ করছেন মাহমুদউল্লাহ।
এমনিতে দলে মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার আছেন অলরাউন্ডার হিসেবে। শান্তর বিশ্বাস দলে ভারসাম্য এনে দেওয়া অলরাউন্ডাররা দুই বিভাগেই ভালো করবেন।