গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজর পরপরই তিন ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব অব্যাহতি চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেসময় এই ব্যাটার নিজের সিদ্ধান্তের জন্য ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেন।
সেই ব্যক্তিগত কারণ নিজের ব্যাটিংয়ে মনযোগী হওয়া। তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ায় শান্তর ব্যাটিংয়ে চাপ পড়ছিল। তাই ছোট ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। গত অক্টোবরে বিসিবি প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর একটি ফরম্যাট থেকে শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়।
আনুষ্ঠানকি ভাবে সেই ঘোষণা হয়তো এতদিন আসেনি। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কোন খেলা আপাতত না থাকায় এ ব্যাপারে আগেই ঘোষণা দেওয়া জরুরী মনে করেনি বিসিবি। অবশ্য শান্ত যে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করবেন না তা নিশ্চিত।
জাতীয় দলেল টিম ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্য সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, “এই সিদ্ধান্তটা আগেই হয়েছে। এটা নতুন কিছু না। একটা ফরম্যাট থেকে সে নেতৃত্বের চাপমুক্ত থাকলে ব্যাটিংয়ে মনযোগী হতে পারবে। বিশেষ করে ছোট ফরম্যাটে। তাই ওকে নির্ভার রাখার জন্য বিসিবি ও শান্ত দুই পক্ষই এ সিদ্ধান্তে রাজি হয়েছে।”
এমনিতে শান্তকে এক বছরের জন্য নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শান্তর অধিনায়কত্বের এক বছর পূর্ণ হবে। তাই এই টুর্নামেন্ট পর্যন্ত শান্ত জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকছেন।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজর পর একজন নির্বাচক সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছিলেন, “শান্ত তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক। আমাদের দেশের মতো ক্রিকেট দলে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া খুব চাপের। ওর জন্য তাই ব্যাপারটা চাপ হয়ে যাচ্ছিল। এজন্যই হয়তো সে ওই ইচ্ছাপোষণ করেছে।”
শান্ত টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেও কে অধিনায়ক হবেন তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই বিসিবির। উইন্ডিজ সিরিজে টি-টোয়েন্টি জয়ের সাফল্য দেখানো লিটন দাসই নতুন অধিনায়ক হচ্ছেন।