ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লাল বলের সিরিজের দলে নেই শরিফুল ইসলাম। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি।
টেস্ট সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে রয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি। কুড়ি ওভারের এই সিরিজে যেন শরিফুলকে পাওয়া যায়, সেকারণেই তাকে টেস্ট দল থেকে বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচক হান্নান সরকার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে কুঁচকির চোটে পড়েন শরিফুল। খেলতে পারেননি রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্ট। ভারত সফরের আগে তিনি ফিট হয়ে যাবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু লম্বা সময় বোলিং করার মতো ফিটনেস ফিরে পাননি এই পেসার। যেহেতু সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজও রয়েছে, সেকারণে নির্বাচকেরা শরিফুলকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারত সফরের টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার পর সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেছেন নির্বাচক হান্নান সরকার। এ সময় শরিফুল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “(পাকিস্তানে) দ্বিতীয় টেস্টে শরিফুল আনফিট ছিল। যে কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ছিল না। তারপর সেই প্রক্রিয়ায় ওকে ফলোআপে রাখা হয়েছে। ফিজিও-ট্রেনাররা তার দেখভাল করছেন। তাকে টেস্টের জন্য শতভাগ ফিট বলব না। কারণ টেস্টে ১৫-২০ ওভার বোলিং দরকার হতে পারে।”
টেস্টে লম্বা সময় বল করতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে সেই কোটা মাত্র ৪ ওভারের। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটেও গুরুত্বপূর্ণ বোলার শরিফুল। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে যেন তাকে পাওয়া যায়, সেই আশাতেই হান্নান, “সামনে আমাদের টি-টোয়েন্টি খেলাও আছে। ওই সংস্করণেও শরিফুল গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সেই জায়গা থেকে ও যেহেতু শতভাগ ফিট নয়, তাই আমরা ঝুঁকির জায়গায় যেতে যাচ্ছি না।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমাদের টেস্ট দলে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো বেশ কয়েকজন (পেসার) তৈরি করতে পেরেছি। যারা ফিট আছে। তাই আমরা শরিফুলকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইনি। আশা করি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে গেলে সে টি-টোয়েন্টি দলে আসবে।”
১৫ সেপ্টেম্বর ভারতে রওনা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। চেন্নাইয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। এরপর ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ শেষ হবে ১২ অক্টোবর।