Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

আনার হত্যা : শিমুল ভূইয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

শিমুল ভূইয়া।
শিমুল ভূইয়া।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূইয়া।

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

রিমান্ডে থাকা আসামি শিমুল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে চাইলে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে আনার হত্যায় নিজের সংশ্লিষ্টতার পাশাপাশি হত্যা পরিকল্পনাসহ যাবতীয় বিষয় বর্ণনা করেছেন শিমুল।”

আগেরদিন মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দেন এ মামলার অন্যতম আসামি তানভীর ভূইয়া, তিনি শিমুল ভূইয়ার ভাতিজা। তার আগেরদিন স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান।

এ নিয়ে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিন আসামিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। পরে তাদের তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের একটি মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। সেই মামলার আসামি হিসেবেই গ্রেপ্তার করা হয় এই তিনজনকে।

এর আগে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৪ মে আট দিনের এবং ৩১ মে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামিরা এমপি আনার হত্যার পরিকল্পনাসহ অন্য আসামিদের ব্যাপারে নানা তথ্য দেন।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার চিকিৎসার কথা বলে গত ১২ মে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেদিন তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরের সিঁথি এলাকায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। পরদিন দুপুরে সেখান থেকে বেরিয়েছিলেন ভাড়া করা একটি গাড়িতে। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ।

গোপালের করা জিডির সূত্রে পুলিশ ও গোয়েন্দারা কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে আনার খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও লাশের কোনও অংশই এখনও মেলেনি। ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার হলেও তা আনারের কিনা সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আসামিদের দেওয়া তথ্যে আনারের লাশ উদ্ধারে নদী, নালাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে কলকাতা পুলিশ।

এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জিহাদ হাওলাদার নামে এক বাংলাদেশিকে। সিয়াম নামের আরেক আসামিকে নেপালে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ পেয়ে সেখানে যান ঢাকার তদন্তকারী দলের কর্মকর্তারা। তবে আইনী জটিলতায় সিয়ামকে ঢাকায় আনা সম্ভব হয়নি।

এমপি আনার হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিনসহ ১০ জনের বেশি আসামির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেনের তথ্যও যাচাই করা হচ্ছে।

যেসব ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন যাচাই করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন, শিমুল ভূইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমান উল্লাহ সাঈদ, তানভীর ভূইয়া, সেলেস্টি রহমান ওরফে শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত