কর্মীদের স্থায়ীকরণ, নতুন কর্মী নিয়োগ, পোষ্য কোটা চালু ও ছয়টি উৎসাহ বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের কর্মীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার ঢাকার মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেন। এসময় তারা ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিমের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টা খানেক অবস্থান করেন। এ সময় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডি।
পরে সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আন্দোলনরত কর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল চেয়ারম্যান ও এমডির সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবিগুলো পেশ করেন।
২০-২৫ বছর ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরিরতদের অবিলম্বে স্থায়ী করার, ২০২৩ সালের পরিচালন মুনাফা থেকে ছয়টি ইনসেনটিভ বোনাস ও অবিলম্বে নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার এবং পোষ্য কোটায় নিয়োগ চালু করার দাবিতে এই আন্দোলন করছেন সোনালী ব্যাংক কর্মীরা।
সোনালী ব্যাংকের এমডিকে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়, সোনালী ব্যাংক পিএলসি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্বনামধন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক, সরকারের বিভিন্ন পলিসি ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে গণমানুষের আস্থার ব্যাংক হিসাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “সোনালী ব্যাংক পিএলসি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা সুযোগ্য পরিচালনা পর্ষদ, সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকটি ২০২২ সালে ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফার বিপরীতে তাদের সাড়ে চারটি উৎসাহ বোনাস দিয়েছিল।
২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ ৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা মুনাফা হলেও কেন তিনটি উৎসাহ বোনাস তারা গ্রহণ করবেন, সে প্রশ্ন রাখা হয়েছে চিঠিতে।
এখন রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক কর্মীদের বছরে সর্বোচ্চ তিনটি উৎসাহ বোনাস দিতে পারে। এমন শর্ত দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে ‘উৎসাহ বোনাস’ নামে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে।
নতুন গাইডলাইনে বলা হয়, ‘উৎসাহ বোনাস’ কোনও অধিকার নয়, এটি আর্থিক সুবিধা, যা পর্ষদের বিশেষ বিবেচনায় দেওয়া হয়।
তবে কর্মীরা তিনটি ‘উৎসাহ বোনাসে’ সন্তুষ্ট নয়। তারা ছয়টি ‘উৎসাহ বোনাস’ দাবি করছেন।