Beta
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে ক্রেতারা এখনও হয়রানিতে

তেল
দেশের বাজারে ১ মার্চ থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম কমবে ১০ টাকা
[publishpress_authors_box]

দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। পাড়া-মহল্লার বেশিরভাগ মুদি দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল।

ফলে ক্রেতাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে খোলা তেল। তাতেও এক কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম পড়ছে ২০০ টাকা। লিটারের হিসাবে দাম হয় ১৯০ টাকা, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩৩ টাকা বেশি।

আর বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারের দোকানগুলোতে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। অথচ সরকার নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা। 

ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার ঘুরে সয়াবিন তেলের বাজারের এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বাড়তি দাম আদায়ে কোনও রাখঢাক নেই বিক্রেতাদের।

নর্দার মোড়ল কাঁচাবাজারের মুদিপণ্যের বিক্রেতা রকিবুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল দিচ্ছেন না ডিলাররা। খোলা তেলেরও সরবরাহ নাই। এ কারণে বোতল খুলে ৫ লিটার তেল কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনি।

পাঁচ লিটারের বোতল ভেঙে খোলা দরে ৯৩০ টাকায় বিক্রি করেন রকিবুল। অথচ ৫ লিটার বোতলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৫৫ টাকা।

গত ৯ ডিসেম্বর সরকার তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে প্রতি লিটার খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ে ৮ টাকা করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ টাকা।

নর্দার সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা অর্ডার দিচ্ছি, অগ্রিম টাকা দিচ্ছি। তারপরও সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। তেলের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য না কিনলে তেল দেয় না ডিলাররা।”

ধানমণ্ডির ক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন, “১০ দোকান ঘুরে এক দোকানে তেল পেলাম। তাও আবার বেশি দামে। ৫ লিটার তেল ৯০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হয়েছি।”

তেলের বার সুস্থির করতে সম্প্রতি ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে কয়েকটি ধাপে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তারপরও অস্থির বাজার।

ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে আমদানিকৃত সয়াবিন তেলের চাহিদা ২২ লাখ টন। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছর আমদানি হয়েছিল ২৩ লাখ টন (এক টনে এক হাজার লিটার)।

ভোজ্যতেলের আমদানি বাজারের ৫০ শতাংশই এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

সয়াবিন তেলের বাকি অংশের জোগান দিচ্ছে রূপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেশ, পুষ্টিসহ আরও কিছু কোম্পানি।

তেল ছাড়া বাজারে আরও আলোচনায় রয়েছে চালের দাম। সব ধরনের চালের দামই বাড়তি। মাঝারি ও চিকন জাতের চাল কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট (চিকন) চাল মানভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, ব্রি-২৮ কেজি ৬৩-৬৫ টাকায় এবং নাজিরশাইল মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

তবে বাজারে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম, প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সিম ও নতুন আলুর কেজি ২০-২৫ টাকা। বেগুন, টমেটো, গাজর ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত