ডন ব্র্যাডম্যানকে তো এমনিতে সর্বকালের সেরা বলা হয় না। ৯৯.৯৪ গড়ে টেস্টে রান করা এই অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বয়স ৩৮ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর। ১৯৪৬ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৪ রানের ইনিংস খেলা ম্যাচটি শুরুর দিন ডনের বয়স ছিল ৩৮ বছর ১০৮ দিন। ১৩ মাস পর অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ২০১ রান করা ম্যাচটি শুরুর দিন ৩৯ বছর ১৪৯ দিন বয়স ছিল তার।
আজ (বৃহস্পকিবার) গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উসমান খাজা ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ৩৮ বছর ৪৩ দিন বয়সে। ডন ব্র্যাডম্যানের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন তার। ৫০৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৩২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের এটাই সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সেরা ২১৯ রানের ইনিংসটি ১৯৯৫ সালে ওয়াকায় খেলেছিলেন মাইকেল স্লাটার।
এর আগে উসমান খাজার সেরা ইনিংস ছিল ১৯৫। ২০২৩ সালে সিডনিতে খাজা ১৯৫ রানে অপরাজিত থাকলেও ইনিংস ঘেষণা করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কারণ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল অনেকটা সময়। সেই অতৃপ্তিটা আজ মিটল খাজার।
সবচেয়ে বেশি বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অবশ্য ব্র্যাডম্যানের নয়। এই কীর্তি দক্ষিণ আফ্রিকার এরিক রোয়ানের। ১৯৫১ সালে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ৪২ বছর ৬ দিন বয়সে।
খাজার রেকর্ড ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৬৫৪ রানে। এটি শ্রীলঙ্কায় তো বটেই, এশিয়ার মাটিতেই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস। সেঞ্চুরি করেছেন স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিশ। স্মিথ ১৪১ আর ইংলিসে ফেরেন ১০২ করে। সমান ৩টি করে উইকেট প্রবাথ জয়াসুরিয়া ও জেফরি ভেন্ডারসির।
জবাবে ধুঁকছিল শ্রীলঙ্কা। তারা দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৪ রানে। ওসাদা ফার্নান্দো ৭, দিমুথ করুনারত্নে ৭ আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ফেরেন ৮ রান করে। শ্রীলঙ্কা এখনও পিছিয়ে ৬১০ রানে।