সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও ডোপ টেস্টের মাধ্যমে প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হচ্ছে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশেষ এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হয়। এই ইউনিটে ১ হাজার ২৫০ শিক্ষার্থীকে আজ চূড়ান্ত ভর্তির জন্য ডাকা হয়।
বৃহস্পতিবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) ও সি ইউনিটের (বাণিজ্য) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
শাবিপ্রবি ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. রেজা সেলিম বলেন, “গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করে সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১২০০ শিক্ষার্থীর ডোপটেস্ট করা হয়েছে। তবে কারও পজেটিভ হয়নি।”
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রক্তের গ্রুপ জানেন না, তাদের রক্তের গ্রুপও নির্ণয় করে দেওয়া হচ্ছে।
বিএমবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লা আল সোয়েব জানান, ডোপটেস্টের চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেনজুডাইয়াজিপাইন অন্তর্ভুক্ত স্লিপিং পিল, মারিজুয়ানা (গাঁজা), ইয়াবা ও আফিম। স্লিপিং পিলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গ্রহণ করা হলে তা গ্রাহ্য করা হচ্ছে। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত হলে ওই শিক্ষার্থীর তথ্যগুলো আমরা কাউন্সিল টিম ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছে দেব। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে কাউন্সিলিং করানো হবে অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আবু সাঈদ আরফিন খান বলেন, “স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হচ্ছে। এতে সাতটি স্তরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ভর্তি ফি গ্রহণ, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রশন যাচাই, হল সংযুক্তি প্রদান ও হলের আসন বণ্টনের আবেদন নেওয়া হচ্ছে।”
শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষার কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদানবিষয়ক সংগঠন ‘সঞ্চালন’-এর সদস্যেরা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) শাবিপ্রবি প্লাটুনের সদস্যেরা ভর্তি-ইচ্ছুকদের সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছেন।