আবারও ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে দেখা যাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। তবে এবার আর বিশৃঙ্খলভাবে নয়, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন তারা। আর এর বিনিময়ে সম্মানীও পাবেন তারা।
সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কথাই জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “ঢাকার সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও কাজ করবেন। এবারের ট্রাফিক পক্ষে আমাদের সঙ্গে ছাত্র ভাইয়েরা যোগ দিয়েছেন। এই ছাত্র ভাইয়েরা যদি রাস্তায় থাকে, আপনারা দেখেছেন ৫ অগাস্টের পরে যখন পুলিশ ছিল না, তখন তারা রাস্তায় ভালো কাজ করেছে।
“এখন একসাথে কাজ করে তারা হয়ত রাস্তার পরিস্থিতিটা আরও উন্নত করতে পারবে।”
এজন্য শিক্ষার্থীদের সম্মানী দেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এ সম্মানীটা কত, সেটা এখন বলতে চাচ্ছি না। একটা রিজনেবল সম্মানী তাদের দেব। প্রাথমিকভাবে ৩০০ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা হয়েছে। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।”
দুই কোটিরও বেশি মানুষের এই শহরে একই রাস্তায় যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক দুই ধরনের যানই চলাচল করে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “এতে সড়কে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ব্যস্ত এই শহরের ট্রাফিক সিস্টেমের আধুনিকায়নে গবেষক দল কাজ করছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এটি চালু করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশ এক প্রকার প্রশাসনবিহীন ছিল। সে সময় আপনারা দেখেছেন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ছাত্ররা কীভাবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারুণ্যের শক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজে লাগাতে চায়। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ, পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি সংক্ষিপ্ত র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে শুরু হয়ে সামনের সড়ক ঘুরে আবার প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে শেষ হয়।
পরে বেলুন উড়িয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাফিক পক্ষে বাস, ট্রাক চালক ও মালিকদের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপি আটটি ট্রাফিক বিভাগ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সচেতনতামূলক সভা ও কর্মসূচির আয়োজন করবে।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন ঢাকা মহানগরে স্কাউটসহ এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে।