এবারের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি সম্ভবত ভুলে যেতে চাইবেন বিরাট কোহলি। খারাপ সময় গিয়েছে, কিন্তু এভাবে ধারাবাহিক ব্যর্থতা তার ক্যারিয়ারে খুব একটা দেখা যায়নি। একে ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না, এর সঙ্গে মাঠের কার্যকলাপে দল ও সতীর্থদের ওপর তিনি চাপ তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তির মতে, কোহলির কারণে অস্ট্রেলিয়ায় চাপে পড়েছিল ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সবক’টিতে খেলেছেন কোহলি। পার্থের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাওয়া সেঞ্চুরি এই সিরিজে তার সর্বোচ্চ। বাকি আট ইনিংসে কেবলই হতাশার ছবি। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও দলকে উজ্জীবিত রাখতে ফিল্ডিংয়ের সময় সবসময় প্রাণবন্ত ছিলেন। সতীর্থদের উৎসাহ দিয়ে গেছেন প্রত্যেক বলে। একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করে গেছেন।
সেরকম কিছু করতে গিয়েই ঝামেলা বাঁধিয়ে ফেলেন কোহলি। মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অভিষেক হয়েছে স্যাম কনস্টাসের। তরুণ এই ক্রিকেটারকে ক্রিজের মধ্যে অহেতুক কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারেন কোহলি। এই ব্যাপারটি মোটেও পছন্দ হয়নি গাভাস্কারের। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি চলাকালীন বরাবরই সমালোচনার তীরে তিনি বিদ্ধ করেছেন ভারতীয় ব্যাটারকে। শেষ হওয়ার পরও আঙুল তুলেছেন কোহলির দিকে।
মেলবোর্ন টেস্টে কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পান না গাভাস্কার। ওই ঘটনা ঘটিয়ে বরং প্রতিপক্ষ ও তাদের সমর্থকদের খেপিয়ে তুলেছিলেন কোহলি- গাভাস্কার এই অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, প্রায় ৯০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে চলা মেলবোর্ন টেস্টে ভারতের ওপর অহেতুক চাপ তৈরি করেছিলেন কোহলি।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে নিজের কলামে গাভাস্কার লিখেছেন, “কোহলির কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারাটা মোটেও ক্রিকেট নয়। কেউ প্ররোচিত করলে ভারতীয়রাও ছেড়ে করা কথা বলে না, কিন্তু এখানে প্ররোচনার মতো কিছু ঘটেইনি। অভিজ্ঞ হওয়ার সঙ্গে একজন খেলোয়াড় একটা বিষয় শেখে- দর্শকদের সামনে উত্তেজিতমূলক কিছু করার চেষ্টা করা যাবে না, যখন কিনা তারা দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। সুতরাং কোনও খেলোয়াড়কে দুয়ো দেওয়াটা মোটেও ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না, এটা দলীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “এই ধরনের ঘটনা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখানে ক্রিকেটীয় কোনও ব্যাপার ছিল না। কোহলির বোঝা উচিত ছিল, তিনি যা করেছেন তার পাল্টা জবাব হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান দর্শকেরা তার সতীর্থদের ওপর চাপ তৈরি করবে।”