টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সংখ্যায় ভারতীয় দলের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু খাতা-কলমের হিসেব যে বাস্তবে কোনও অর্থ রাখে না, তা দেখিয়ে দিল ভারত। সফরকারীদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অনায়াসে জিতল নতুন ভারত। বিশ্বকাপজয়ী কয়েকজন তারকার অবসরের পর ভারতীয় দলে যোগ হয়েছে কিছু নতুন প্রতিভা। আবার কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিশ্রামও দিয়েছে তারা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩২ রান তুলে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে ভারত। ১৬ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন হারদিক পান্ডিয়া। এর আগে সূর্যকুমার যাদব ও সঞ্জু স্যামসন দুজনেরই ২৯ রানের দুটো ম্যাচ জয় সহজ হয় ভারতের।
এই সিরিজে বাংলাদেশ নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট উপহার দেবে বলেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের আশা বা লক্ষ্য কোনটাই সত্যি প্রমাণ করতে পারেননি তার সতীর্থরা। নতুন দিনের ক্রিকেট খেলায় চূড়ান্ত হতাশ করেছেন সবাই। ব্যাটাররা আগের মতোই হতশ্রী চেহারাই আছেন।
ভারতের হয়ে অভিজ্ঞরা পারফরম করলেও নতুন বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ, মায়াঙ্ক যাদব বা নিতিশ রেড্ডিদেরও সামলানো সহজ হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আগের মতো ম্যাচে পথ হারিয়েছে তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপের চিন্তা মাথায় নিয়ে সাকিব আল হাসান পরবর্তী যুগে নতুন বাংলাদেশ নয়, বরং পুরোনো শান্তবাহিনীকেই দেখা গেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১২৭/১০ (১৯.৫) (মিরাজ ৩৫*, শান্ত ২৭, হৃদয় ১২, তাসকিন ১২; আর্শদীপ ৩/১৪, বরুণ ৩/৩১)। ভারত : (সঞ্জু ২৯, সূর্যকুমার ২৯, হারদিক ৩৯* ; মিরাজ ১/৭, মোস্তাফিজ ১/৩৬) । ফল : ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : আর্শদীপ সিং।
দশ ওভারেই একশ ভারতের
টি-টোয়েন্টির আসল ক্রিকেটটা ভারতই খেলে। তার প্রমাণ আবারও দিল দলটি। ১০ ওভারের মধ্যেই একশ রানের কোটা পার করেছে তারা। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় নিশ্চিত স্বাগতিকদের। ১০ ওভার শেষে দলটির রান ৩ উইকেটে ১০২। জয়ের জন্য আর ২৬ রান চাই ভারতের।
ছক্কা মারতে থাকা সূর্যকে থামালেন মিরাজ
তিন ছক্কা মেরে উইকেটে পুরোপুরি সেট হয়ে পড়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। মোস্তাফিজুর রহমানকেই মেরেছেন দুই ছক্কা। ১৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৯ রান করেছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সূর্যকে থামালেন মোস্তাফিজ।
কোমর সমান উঠে আসা বলটিকে গ্লান্স করে থার্ডম্যানে পাঠিয়ে দেন সূর্য। সেখানে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়ানো জাকের আলি সহজ ক্যাচ নেন। ৬৫ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
পাঁচ ওভারেই পঞ্চাশ ভারতের
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ ওভারেই এক তৃতীয়াংশ রান তুলেছে ভারত। অভিষেক শর্মা ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলেও তাই ক্ষতির কিছু হয়নি স্বাগতিকদের জন্য।
তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামদের ওপর ঝড় তুলে ৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৫২ রান তুলেছে ভারত। অভিষেক ৭ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন।
উইকেটে অপরাজিত ১২ বলে ২৩ রান করা সূর্যকুমার ও ১১ বলে ১৮ রান করা সঞ্জু স্যামসন।
মিরাজের ব্যাটে মুখরক্ষা
বাংলাদেশ দলে এই সময়ে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটাই মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান না থাকায় অবধারিতভাবেই একাদশে চলে এসেছেন তিনি। তাতে ১৪ মাস পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফেরা হয় মিরাজের।
সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট মিরাজেই ভারতের বিপক্ষে গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখ রক্ষা হলো বাংলাদেশের। সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তার ৩২ বলে ৩৫ রানে চড়ে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ। মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
মিরাজের ৩২ রান না থাকলে এদিন একশ রানও কঠিন ছিল বাংলাদেশের জন্য। মিরাজ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাত নম্বরে একজন পাওয়ার হিটারের প্রয়োজনীয়তা সবসময়ই ছিল বাংলাদেশের। ওই জায়গায় খেলতে জাকের আলিকে তৈরি করা হয়। অথচ আজ জাকেরকে নামানো হলো মিরাজের আগে। পাশাপাশি সাকিবের জায়গায় মাহমুদউল্লাহকে তুলে আনা হয় ব্যাটিং অর্ডারে। সেই পরিকল্পনাও কাজ করেনি। ব্যাটিংয়ে নতুন স্টেডিয়ামের নতুন পিচে তাই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
মিরাজ-তাসকিনের দায়িত্বশীল জুটি থামল
ওপরের ব্যাটাররা ক্রিজে জুটি গড়তে পারছিলেন না। মিরাজ একাই লড়ছেন একপ্রান্ত দিয়ে। সেখানে তাসকিন জুটি হাত বাড়িয়ে দিলেন মিরাজকে। দুজনে ২১ বলে ২৩ রানের দায়িত্বশীল জুটিও গড়লেন।
সেই জুটি আর বাড়তে পারেনি। থার্ডম্যানে বল ঠেলে মিরাজ চাইছিলেন দুই রান। কিন্তু তাসকিন খেয়াল করেননি। নিজের ভুলেই ১৩ বলে ১২ রান করে উইকেট ছুঁড়ে দিলেন।
এর দুই বলের মাথায় হারদিক পান্ডিয়ার বলে শরিফুল বোল্ড হলে ১১৭ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের বাকি আর ২ ওভার।
একশ হলো বাংলাদেশের
৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোয় একশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে সেই শঙ্কা দূর হলো। ১৫তম ওভারে দলীয় একশ পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের।
শেষ ভরসা রিশাদও পারলেন না
খুব দ্রুত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন রিশাদ হোসেন। ৬ উইকেট হারালেও শেষ ওভারগুলোতে রিশাদের ব্যাটে ভর করে সম্মানজনক রানের ভাবনায় ছিল বাংলাদেশ। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে শুরু করেন।
মোট তিন বলে এক ছক্কা ও এক চারে ১০ রান করে এই তরুণ ঝড়ো কিছুর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু এর বেশি আর এগোতে পারেননি।
বরুণ চক্রবর্তীর খাটো লেন্থের বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ডিপ মিডউইকেটে। ১৫ ওভারে ৯০ রানে ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। অপরপ্রান্তে মিরাজ ব্যাট করছেন ১৭ বলে ২১ রানে।
ধরে খেলা শান্তও ফিরলেন
আগের বলেই স্ট্যাম্পিং হওয়া থেকে বাঁচলেন। কিন্তু পরে বলে ক্যাচ তুলে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক যা একটু রান করছিলেন। তার বিদায়ে একশ’র আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা বাংলাদেশের।
২৫ বলে ২৭ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরকে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন শান্ত। বাংলাদেশ ৭৫ রানে হারালো ৬ উইকেট।
জাকেরের এক ছক্কা
বড় শট নেওয়া জাকের আলির দক্ষতা। জাতীয় দলে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। ভারতের বিপক্ষে নিতিশ রেড্ডিকে বিশাল এক ছক্কা মেরে দায়িত্বের শুরুটা করেছিলেন কিন্তু শেষ করা হলো না। জাকের টিকলেন ওই এক ছক্কা পর্যন্তই।
বরুণের বলে লাইন ভুল পড়ে সরাসরি বোল্ড হলেন ৬ বলে ৮ রান করে। বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারালো ৫৭ রানে। বড় স্কোরের জন্য কোন জুটিই দাঁড় করানো হচ্ছে না সফরকারীদের। সর্বোচ্চ জুটি শান্ত-হৃদয়ের ২৬।
২১ বলে ২৫ রান করে শান্তই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোরার। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৭০।
নিজের ভবিষ্যত নিজেই দেখালেন মাহমুদউল্লাহ
এই সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন। অবশ্য স্পষ্ট কিছু মিলছিল না। সহজ করে দিলেন মাহমুদউল্লাহ নিজেই।
ব্যাটিং অর্ডারে উপরে সুযোগ দিয়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দলের হাল ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ হতাশ করলেন। ২ বলে ১ রান করে অভিষিক্ত মায়াঙ্ক যাদবকে উইকেট দিয়ে ফিরলেন। বাংলাদেশ ৪৩ রানে ৪ উইকেট পরিণত হল। নিজের ভবিষ্যতটা নিজেই লিখলেন মাহমুদউল্লাহ।
এদিকে মায়াঙ্ক যাদব গোয়ালিয়রের পিচে আগুন ঝড়াচ্ছেন। ১৪৯ গতি ঘন্টায় বল করে নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাটারদের। অভিষেক ওভারে মেডেনদিয়ে শুরু করা মায়াঙ্ক এবার অভিষেক উইকেটও তুলে নিলেন।
নড়বড়ে হৃদয় থামলেন
বরুন চক্রবর্তীকে খেলা কষ্টের হয়ে উঠছিল হৃদয়ের জন্য। এই বোলারের বিপক্ষে একবার আউট হওয়া থেকে বেঁচেছেন। তবে সপ্তম ওভারে আর টিকলেন না। বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১২ রানেই ফিরলেন। বাংলাদেশ ৪০ রানে ৩ উইকেট।
রেড্ডি ‘রেডি’ ছিলেন না
রিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমেছেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। ফিল্ডিংয়ের জায়গা ছিল মিড উইকেটে। স্পিন আক্রমণ টানার পর ফিল্ডিং ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই অভিষিক্ত রেড্ডিকে রাখা হয় মিডউইকেটে। ঠিক সেখানেই উড়িয়ে মারেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু প্রথম ম্যাচের উত্তেজনায় থাকা রেড্ডি ক্যাচ মিস করলেন।
ওই সময় ৬ বলে ৩ রানে ব্যাট করছিলেন হৃদয়। রানের চেয়ে বল বেশি হওয়ায় একটু চাপ ছিল তার। চাপ এড়াতেই বরুণ চক্রবর্তীর স্ট্যাম্পের বলে স্লগ মেরেছিলেন। বল উড়ে যায় মিডউইকেটে। সেখানে দাঁড়ানো রেড্ডি একটু এগিয়ে এসেও বল ধরতে পারেননি। বলের ফ্লাইট ভুল পড়ায় ক্যাচ মিস করেন। ৩ রানে জীবন পান হৃদয়। পরের বলেই আবার চার ও শেষ বলে শান্ত ছক্কা মারায় রানের চাপমুক্ত হয় বাংলাদেশ।
৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৯। শান্ত ১৪ ও হৃদয় ১২ রানে অপরাজিত।
নতুন বাংলাদেশের পুরোনো চেহারা
এ সিরিজ থেকে নতুন বাংলাদেশকে দেখা যাবে এমনটাই বলেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাসের চার ও পারভেজ হোসেন ইমনের ছক্কায় কেমন আভাসও পাওয়া যায়। কিন্তু তিন ওভার পরই অতীতে ফিরলো বাংলাদেশ।
আর্শদীপ সিংয়ের দুই ওভারে নেওয়া দুই উইকেটে পাওয়ার প্লে তে আটকে গেল বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা। ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে এখন পাওয়ার প্লেতে সাবধানী ব্যাট করতে হবে বাংলাদেশকে।
আর্শদীপ বলে ক্যাচ আউট হয়ে গোয়ালিয়র স্টেডিয়ামের রেকর্ড বইয়ে জায়গা নিলেন লিটন দাস। এই মাঠের প্রথম আউট হওয়া ব্যাটার তিনি। আর প্রথম উইকেট পাওয়া বোলার আর্শদীপ।
জোড়া উইকেট হারানোয় শান্ত ও হৃদয়ে ভরসা রাখছে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারে লিটন আউট
প্রথম ওভারের আর্শদীপের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিটন রিংকু সিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬। উকেটে আছেন ইমন ও শান্ত।
ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি পণ্ড করতে গোয়ালিয়রে ‘বনধ’ ডেকেছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। স্টেডিয়ামে এর প্রভাব নেই। ম্যাচ শুরুর অনেক আগেই ভরে গিয়েছে গ্যালারি।
নতুন এই স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। নতুন উইকেট হওয়ায় বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
টসের সময় বাংলাদেশি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ‘‘টস জিতলে আমিও বোলিং নিতাম।’’
বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে। পারভেজ হোসেন ইমন ফিরেছেন এক বছর পর।
বাংলাদেশের একাদশ : লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ: অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যাসমন, সূর্যকুমার যাদব, নীতিশ কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং ও মায়াঙ্ক যাদব।