সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি জানান, “আমরা সবাই একমত হয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট সবাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।”
এর আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এরপর পদত্যাগের তথ্য পাওয়া যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ে শুরু হয় আন্দোলন। সেই আন্দোলন সহিংসতায় গড়ায় মাসের মাঝামাঝিতে। সেখানে প্রাণ হারান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক শিক্ষার্থীও।
আন্দোলন থেকে এক পর্যায়ে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হয়। তারপর জনগণের চাপে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “শুধু প্রক্টোরিয়াল বডি নয়, আমাদের দাবি ছিল উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ।
“এই ক্যাম্পাসে আমাদের এক ভাই শহীদ হয়েছেন। আমাদের দাবি ছিল প্রক্টোরিয়াল বডিকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যারা পদত্যাগ করেননি তাদেরকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।”