Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

সিলেটের নিম্নাঞ্চল আবার প্লাবিত

ss-sylhet flood-1-7-24
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথেই ছিল। কিন্তু উজানের ঢল আর ভারি বর্ষণ পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

সিলেটের চার উপজেলা থেকে নেমে যাচ্ছিল পানি। এখন টানা বৃষ্টিতে এসব এলাকায় আবার বেড়েছে বন্যার পানি।

এরই মধ্যে জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারা ও লোভা নদীর পানি চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার  ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকাল ৬টায় ছিল  বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপরে। জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টি হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার।

পিয়াইন, সারি, সারি গোয়াইন, ডাউকি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও প্রতিটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। নতুন করে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন অনেকে।

জেলা প্রশাসনের সোমবার রাতের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের ১৩ উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত ৭ লাখ ৩৩৬ জন। ১০ উপজেলার ১৯৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৮ হাজার ৩০৮ জন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, উজান থেকে ঢলের পানি নামতে থাকায় নদীগুলোর সীমান্তবর্তী পয়েন্টে পানি বাড়ছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঢলের পানিতে সীমান্তবর্তী চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া আগে থেকে আক্রান্ত এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, নতুন করে এই চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে উদ্ধার তৎপরতাসহ সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত