রান উৎসবই হলো সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। চার-ছক্কা দেখতে আসা দর্শকরা তৃপ্তি নিয়ে উপভোগ করলেন সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ২০৫ রানের পাহাড় রংপুর রাইডার্স পেরিয়ে যায় ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে।
দাপুটে ৮ উইকেটের জয়ে দ্বিতীয় উইকেটে অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান গড়েন ১৮৬ রানের জুটি। সাইফ ৪৯ বলে ৩ বাউন্ডারি ৭ ছক্কায় ফেরেন ৮০ রানে। তবে হেলস সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন ১১৩ রানে। ৫৬ বলে ১০ বাউন্ডারি ৭ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন হেলস। এছাড়া ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৮ রানে।
দুই দল মিলে এই ম্যাচে করেছে ৪১৫ রান। সিলেটের ইনিংসে ছক্কা ১৬টি আর রংপুরের ইনিংসে ১৫টি। ৩১ ছক্কার ম্যাচে জয়টা ছিল এবারের বিপিএলে রংপুরের টানা চতুর্থ।
১৫ ওভার শেষে সিলেটের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৩১। শেষ ৫ ওভারে তারা করে ৭৪ রান। জবাবে বড় স্কোর তাড়া করতে নামা রংপুর প্রথম ওভারে আজিজুল হাকিমকে (০ রান) হারালেও ১৫ ওভার শেষে করেছিল ১ উইকেটে ১৪৭। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫৯ রান।
আরিফুল হকের করা ১৬তম ওভারে ৩ ছক্কায় ২৩ রান নিয়ে কাজটা সহজ করে দেন অ্যালেক্স হেলস। সাইফ ৮০ রানে ফিরলেও তাই জটিল হয়নি অঙ্কটা।
রানার ৪ ওভারে ৫ ছক্কা, সিলেট থামল ২০৫ রানে
বিপিএলের প্রথম পর্বে একটাই ম্যাচ খেলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৩৪ রানে হেরেছিল তারা। মিরপুর ছেড়ে বিপিএল এখন সিলেটে। নিজেদের শহরে প্রথম ম্যাচে সেই রংপুরেরই মুখোমুখি সিলেট স্ট্রাইকার্স।
সেই ম্যাচ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সিলেট করেছে ৪ উইকেটে ২০৫ রান। রান উৎসবের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু হওয়া সিলেট পর্বের প্রথম ইনিংসটাই ২০০ ছাড়িয়ে যাওয়া বিশেষ পাওয়া দর্শকদের জন্য।
নাহিদ রানা গতির ঝড়ই তুলেছিলেন এবারের বিপিএলে। সিলেটের বিপক্ষে মিরপুরে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। রানা সিলেটেও তুলেছিলেন গতির ঝড়। তবে এবার তাকে ব্যাটাররা সামলেছেন ভালোভাবে। নিজের ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন এই তরুণ পেসার। পাননি উইকেটের দেখা।
শুধু তাই নয় ৪ ওভারে তিনি ছক্কা হজম করেছেন ৫টি। তার শেষ ওভারে অ্যারন জোন্স মারেন টানা ২ ছক্কা। এছাড়া রনি তালুকদার ২টি আর একটি ছক্কা মারেন জর্জ মুনশে।
উদ্বোধনী উইকেটে মুনশের সঙ্গে ৫ ওভারে ৪৭ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিত গড়েছিলেন রনি তালুকদার। মুনশে ১২ করে ফিরলেও রনি করেন ৩২ বলে ৭ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৫৪ রান। তাকে ফেরান মেহেদি হাসান।
৩৮ বলে ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেছিলেন জাকির হাসান। ৪ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ৩৮ বলে ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেছিলেন জাকির আলী। ৪ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। শেষ দিকে জাকের আলী ৫ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রান আর অ্যারন জোন্স ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে।
পাকিস্তানি বোলার আকিফ জাভেদের শেষ ওভারে আসে ২৭ রান। সেই ওভারে ৩টি ছক্কা মেরেছিলেন জাকের আলী, আরেকটি ছক্কা অ্যারন জোন্সের।
দল পেলেন মোসাদ্দেক
গত বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। সেই মোসাদ্দেক এবারের বিপিএলে দলই পাননি শুরুতে। তবে টুর্নামেন্টের মাঝখানে তাকে দলে ভেড়াল ঢালিউড কিং শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস।
আজ (সোমবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা ক্যাপিটালস জানিয়েছে, ইনজুরিতে পড়া আসিফ হাসানের বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনকে। ঢাকার প্রধান কোচ এখন খালেদ মাহমুদ। তার অধীনে এর আগে মোসাদ্দেক খেলেছেন আবাহনী ও দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে।
সিলেটে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে ঢাকা মেট্রো ফাইনালে পৌঁছেছিল মোসাদ্দেকের নেতৃত্বে। তাকে পেয়ে এবার টানা তিন হারের বৃত্তটা ভাঙতে চায় শাকিব খানের দল।