বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। ২৬ অক্টোবর হতে যাওয়া প্রচারণার প্রথম দিনে রবিবার রাজধানী বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিস ফুটবল ক্লাবের মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করেন সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
তাবিথের আমন্ত্রণে এসেছিলেন সাবেক ফুটবলারদের অনেকে। মতবিনিময়ের পাশাপাশি সেখানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্টিত হয়েছে। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে ফিফা থেকে নিষিদ্ধ বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের উপস্থিতি নিয়ে। তাকে নিষিদ্ধ করেছে বাফুফেও।
পাশাপাশি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সোহাগের স্বাক্ষর করা নির্বাচনী বিধিমালা প্রার্থীদের সরবরাহ করা নিয়েও। নির্বাচন ২০২৪ সালে হলেও মনোনয়ন কেনা প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে ২০২০ সালের নির্বাচনী বিধিমালা, সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে সোহাগের।
২০২৩ সালে আর্থিক জালিয়াতি, দুর্নীতি ও টাকা নয়-ছয়ের জন্য সোহাগকে সব ধরণের ফুটবল কার্যক্রম থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। অধিকতর তদন্তের পর এ বছরের মে মাসে নতুন করে তাকে আরও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা।
সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে বাফুফেও। বাফুফে নিষিদ্ধ করলেও এখনও সোহাগের কাছে পাঠায়নি নিষেধাজ্ঞার চিঠি। অথচ নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় অংশ নিলেন তিনি।
তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্টও করেছেন সোহাগ। এ নিয়ে জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আমি তো সামাজিক মানুষ। সোহাগও আজ অন্যদের মতো মাঠে এসেছিল। তাই ছবিও তুলেছে। আমি আর কী বলবো।’’
এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সাবেক তারকা কায়সার হামিদ, জসিমউদ্দিন জোসি, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ছাইদ হাসান কানন, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, আলফাজ আহমেদ, মাসুদ রানা, জাকির হোসেন, গোলাম গাউস, আরমান মিয়া, বিপ্লব ভট্টাচার্যরা। এই চাঁদের হাটের কলঙ্ক হয়েই ছিলেন সোহাগ।
সোহাগ নিষিদ্ধ হলেও তার স্ত্রী তাসমিয়া রেজওয়ানা বাফুফে নির্বাচনে সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব বিক্রমপুর কিংসের কাউন্সিলর তিনি। আলোচনা চলছে নিষিদ্ধ সোহাগের স্ত্রীর নির্বাচন করা নিয়েও।