নতুন সভাপতি প্রথম দিন বাফুফে ভবনে এসে নির্বাহীদের বলে গেলেন ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা। ফিফা ও এএফসি’র বাধাধরা নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাফুফের ভেতর আর্থিক অনিয়ম চলছিল অনেকদিন ধরেই। এসব দেশি সংবাদ মাধ্যমে এলেও কোনও পাত্তা দেননি ১৬ বছরের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। উল্টো সংবাদকর্মীদের বাফুফে ভবনে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।
কিন্তু লম্বা তদন্তের পর ২০২৩ সালে ফিফা জালিয়াতি ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ২ বছরের জন্য। এ বছর সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়ে আরও এক বছর। সঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীসহ অর্থ বিভাগের কয়েকজনকে দণ্ড দেয় ফিফা।
এটাই বাফুফের কাল হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের এমন এক ভাবমূর্তি দাঁড়িয়েছে, ফুটবল ফেডারেশনে কোনও ফুটবলীয় কাজ হয় না, হয় শুধু দুর্নীতি। এই দুর্নাম গোছানোর জন্যই নতুন কমিটি বদ্ধপরিকর।
তাই নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল প্রথম দিন বাফুফে ভবনে এসে প্রথমে নির্বাহীদের সঙ্গে সভা করেছেন। তাদেরকে নতুন বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, “ফিফা ও এএফসির এথিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড, ভেল্যু, মোরাল স্ট্যান্ডার্ড যেন বজায় থাকে বা ওর নিচে যেন না নেমে যায়, সেটা বলা হয়েছে। একটা বা দুটো ইস্যুতে আলাদা করে বলতে চাই না। সামগ্রিকভাবে নিয়মের যেন ব্যতয় না হয়, সেটাই আমরা চাই।”
নতুন কমিটির এক সদস্য বলেছেন, “সভাপতি নিয়মের ইস্যুতে বেশ কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বাফুফে স্টাফদের। দুর্নীতির ইস্যুতে এই কমিটির জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।”
বাফুফে সংস্কারের ব্যাপারে তাবিথ আউয়াল বলেছেন, “সামনে আমাদের অনেক কাজ করার আছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ মেরামতের ব্যাপার আছে, বাইরে মেরামতেরও বিষয় আছে। ফিজিক্যাল সংস্কারও লাগবে। আগামী ৯ তারিখে (৯ নভেম্বর) প্রথম নির্বাহী সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হবে।”