মানহানির অভিযোগে করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামিন বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
তাপসীর পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান পাটোয়ারি জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে গত অক্টোবরের শুরুতে ফেসবুকে মন্তব্য করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম।
এর জেরে ৬ অক্টোবর তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এর পরদিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ৮ অক্টোবর তাপসীর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি গত ৫ অক্টোবর কেবল শহীদ আবু সাঈদ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুকে লেখেন। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয় এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়।
ঢাকায় আবু হানিফের করা মানহানি মামলা আমলে নিয়ে তাপসীকে ২৮ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
তাপসীর বিরুদ্ধে নেওয়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং তারপরে মানহানি মামলার জেরে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সেসময় গুঞ্জন ওঠে সোশাল মিডিয়ায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর তাপসীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে অনুরোধ জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।