এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য কি? দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বারণ করেছেন বড় স্বপ্ন দেখতে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর লক্ষ্য অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ড। তবে ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় স্বপ্ন দেখছেন সেমিফাইনালের।
বিসিবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মিডলঅর্ডার জানালেন, ‘‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই দল যেন ভালো করে। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আমি চাই আমার দল কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অনেকে এখন খেলছেন জাতীয় দলে। তাহলে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বা বড় কোনও টুর্নামেন্টের শিরোপা বাংলাদেশ কতদিনে? হৃদয় জানালেন, ‘‘এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে ভালো করা, কাপ নেওয়া, ভালো করা না, কাপ নিতে চাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’’
বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট আর জাতীয় দলে খেলা যে এক নয় হৃদয় সেটা অনুধাবন করছেন ভালোভাবে। বিসিবিকে জানালেনও সেটা, ‘‘দুটিই গর্বের। একটা ক্যারিয়ার শুরুতে আসা অর্জন, সব সময়ের জন্য স্মরণীয়। জাতীয় দলে চ্যালেঞ্জ বেশি, প্রতিযোগিতা বেশি, সবকিছুই বেশি। যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি, সেখানেই ভালো লাগে। ‘
আইসিসি ইভেন্টের গুরুত্বটাও ভালো জানা হৃদয়ের, ‘‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যখন জিতব, তখন আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়। আমরা যদি দু-একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস, আমাদের যে নতুন প্রজন্ম আসবে, তাদেরও ওইভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে।’’
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নানা পজিশনে ব্যাট করতে হয়েছে হৃদয়কে। এ নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই তার, ‘‘হয়তো আমাকে নিয়ে দলের পরিকল্পনা ছিল এমন। কিন্তু ২০২৩–এর বিশ্বকাপের আগে আমি অন্য জায়গায় ব্যাটিং করেছি। সব সময় ওপরেই খেলেছি। কিন্তু বিশ্বকাপে যখন নিচে ব্যাটিং করেছি, ছয়ে সাতে, তখন আমার জন্য মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়েছিল। এরপরও চেষ্টা করেছি।’’