একের পর এক অপহরণের ঘটনায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফের তিন ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এমন অবস্থায় টেকনাফের পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। দাবি পূরণে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টায় কক্সবাজারের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সংহতি জানিয়ে কর্মসুচিতে অংশ নেন বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনীতিবিদসহ আরও অনেকে।
কর্মসূচির শুরুতে সেখানকার বাসিন্দা সাংবাদিক নুপা আলম বলেন, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগকেই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে। এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন পুরোটাই পাহাড় ঘেঁষে। টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার কিছু এলাকাতেও পাহাড় রয়েছে। ফলে এসব ইউনিয়নের বাসিন্দা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় এবং আতঙ্কে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্য বলছে, দুর্গম পাহাড় ঘিরে কয়েকটি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ৩-৪ শ মতো। তারা পাহাড়ে পাহাড়ে তৈরি করেছে বিশেষ আস্তানা। কিছু স্থানীয় বাসিন্দার আশ্রয় প্রশ্রয়ে চলছে এমন অপরাধ। বিগত সরকারের সময় এই চক্রের সঙ্গে কিছু প্রভাবশালীর সখ্যতার অভিযোগ ছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও তা বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়েছে বহুগুণ। তাই টেকনাফের মানুষ মনে করে, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা না হলে এই ভয়াবহ অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট হাসান সিদ্দিকী, টেকনাফের ব্যবসায়ী এইচএম ওসমান গণি, চাকরিজীবী হাসান আলী, সাংবাদিক আহসান কুতুবি, সাজন বড়ুয়া, মুহিব উল্লাহ মুহিব, ইব্রাহিম, মোহাম্মদ রাসেল।
কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন আহমদ।
নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, টেকনাফের অপহরণের বিষয়ে অবহিত আছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান অব্যাহত রাখলেও অপহরণ রোধ করা যাচ্ছে না। স্মারকলিপি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
