রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে ৬টির মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অতিরিক্ত সময় পাওয়া কমিশনগুলো হলো- সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৫ জানুয়ারি। আর জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা।
গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দায়িত্ব পাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তাকে প্রতিফলিত করার জন্য গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মেয়াদ ধরা হয়েছিল ৯০ দিন। প্রথমে ছয়টি কমিশন গঠন হলেও তা বেড়ে ১৫টি হয়েছে।
সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন—এই চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত ১৫ জানুয়ারি জমা দেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ যেসব সংস্কারে কমিশনগুলো সুপারিশ দেবে, তা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে।
সেদিন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে যাবে সরকার। এর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ওপর।
“রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে ন্যূনতম সংস্কার, নাকি প্রত্যাশিত মাত্রায় বিস্তৃত সংস্কার করা হবে। আর ন্যূনতম সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হলে তখন ন্যূনতম সংস্কারের ক্ষেত্রে কোন কোন সুপারিশ প্রাধান্য পাবে, তা চিহ্নিত করা হবে।”