Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
গোঁজামিলের বিপিএল-১

সব মানদণ্ডেই পিছিয়ে ‘জমজমাট’ বিপিএল

এবারের বিপিএল শুরুর আগে ট্রফির সামনে সাত দলের অধিনায়ক (ফাইল ফটো)।
এবারের বিপিএল শুরুর আগে ট্রফির সামনে সাত দলের অধিনায়ক (ফাইল ফটো)।
[publishpress_authors_box]
বিপিএল-এর বয়স হয়ে গেছে এক যুগ। কিন্তু যেভাবে শুরু হয়েছিল, দশম আসরে এসেও সেই জরাজীর্ণ চেহারা তার। অনাকর্ষণীয় ও অলাভজনক টুর্নামেন্টে দলগুলোর অনীহার পাশাপাশি এটি দেশের ক্রিকেটেও তেমন অবদান রাখতে পারছে না। এখান থেকে বের হয়নি বৈশ্বিক মানের কোনো হার্ড হিটার ব্যাটার। এরপরও এটা চলছে গোঁজামিল দিয়ে। অথচ দেশের ক্রিকেটকর্তাদের চোখে আইপিএলের পর সবচেয়ে জমজমাট বিপিএল ! এই জমজমাট (!) টুর্নামেন্টের ময়নাতদন্ত করেছেন সকাল সন্ধ্যার রাহেনুর ইসলাম। তিন পর্বের ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে (আজ) রবিবার।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের দেউলিয়া হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান ইতিমধ্যে ঋণখেলাপি হয়ে গেছে এবং আমরা এক দেউলিয়া দেশে বাস করছি। দেশের প্রায় সবাই এর জন্য দায়ী।”

দেউলিয়া সেই পাকিস্তানের চেয়ে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০২৩-২৪ সালে বাংলাদেশের বাজেট ছিল ৭০.৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে পাকিস্তানের বাজেট ৫০.৪৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের ১ টাকায় পাওয়া যায় পাকিস্তানের ২.৫৫ রুপি।

সেই পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ পিএসএল অনেক বড় ব্যবধানে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশের বিপিএলকে। এটাই বিস্ময়ের। ভারতের আইপিএলের কথা আলাদা। কারণ প্রতিবেশী দেশটির গত বছরের বাজেট ছিল ৫৬০ বিলিয়ন ডলার। তাদের ক্রিকেট বাজারও অনেক বড়। সুতরাং তাদের সঙ্গে তুলনীয় নয় বিপিএল।

তাই বলে বিপিএলের পরে শুরু করে পিএসএল এগিয়ে যাবে, আর প্রতি বছর গোজাঁমিলের একেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড লোক হাসাবে ! ঠিক কি কারণে দশম আসরে এসেও বিপিএল একটা মজবুত ভিত্তি পেল না, সেটাই তুলে ধরা যাক।

১০ আসরে ২৮ দল

এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী দিনেই চমক। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকা ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। এই ফল বা ম্যাচের লাইভ দেখতে অনেকেই গুগল সার্চে লেখেন ‘বিপিএল ২০২৪’। গুগল ম্যাচের ফল দেখাল ‘কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৪৩/৬-ঢাকা ডমিনেটর্স ১৪৭/৫’!

গতবারের ঢাকা ডমিনেটর্স নাম বদলে এবার দুর্দান্ত ঢাকা হয়েছে, সেটা জানে না গুগলও!

এত বেশি নাম বদলালে মানুষ বা প্রযুক্তির পক্ষে ঠিকঠাক বলতে না পারাই স্বাভাবিক। অথচ বিপিএলে ১০ আসরে সাত দল ২৮ বার নাম বদলেছে !

বারবার এমন বদলই বলে দিচ্ছে, বিপিএল আসলে কোনো কাঠামোতেই দাঁড়াতে পারেনি। তৈরি হয়নি দলগুলোর সমর্থকগোষ্ঠী। প্রথম দুই মৌসুমের বকেয়া সাড়ে তিন কোটি টাকা শোধ না করায় মালিকানা হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ফিক্সিংয়ের জন্য শিরোপা হারানোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ হয়েছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স আর মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো তারকা। আবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি এক দুই মৌসুম খেলেই কেটে পড়েছে লোকসানের বোঝা নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড লভ্যাংশের কোনও অংশ দেয় না দলগুলোকে।

এজন্য আগামী আসর থেকে দল প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল, ‘‘খুব ভালো হয় যদি আমাদের ব্যালান্সটা সমান হয়ে যায় শেষ দিনে। লাভ কখনোই হয়নি। নিজেদের পকেট থেকে তো আর বিপিএল চালাতে পারব না।’’

বিশ্বব্যাপীই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর আয়ের বড় খাত টিভি স্বত্ব, টাইটেল স্পন্সর, টিকিট বিক্রি, মার্চেন্ডাইজিং, প্রাইজমানি, টিম স্পন্সরশিপ ও নিজেদের ব্র্যান্ডের প্রচারণা। টিভি স্বত্ব, টাইটেল স্পন্সর ও টিকিট বিক্রির ভাগ থেকেই নিজেদের খরচের অনেকটা উঠে আসে পিএসএল আর আইপিএলের দলগুলোর। সেখানে বিপিএলের দলগুলো একটা টাকাও পায় না এই তিন খাত থেকে।

দল গড়তে ফ্র্যাঞ্চাইজির আনুমানিক খরচ ১০ কোটি টাকা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দল গড়লে সেটা ১২-১৫ কোটিও হতে পারে। অথচ বিপিএলে দলগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস টিম স্পন্সরশিপ, যা থেকে কোনও দলই ১০-১৫ কোটি টাকা আয় করতে পারে না।

এজন্যই তারা থাকতে চায় না বিপিএলের সঙ্গে। লভ্যাংশের ভাগ ছাড়া মালিকানা টিকিয়ে রাখা কঠিন। তবে বিসিবি সেই ভাগ দিতে চায় না। এ নিয়ে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সকাল সন্ধ্যাকে জানালেন ,‘‘লভ্যাংশের ভাগ পেতে হলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ১০-১৫ কোটি টাকার মত দিতে হবে। আইপিএলের কথা বাদ দেন, পিএসএলে কত টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হয়, জানা আছে তো?’’

তিনি না বললেও অবাধ তথ্য প্রযুক্তির যুগে এগুলো পেতে বাধা নেই।

টিভি স্বত্বে পিছিয়ে

বিপিএলের টিভি স্বত্ব আসলে কত? এতদিনের একটা টুর্নামেন্টে এটা একপ্রকার ধোঁয়াশা হয়েই আছে। সেই রহস্য উন্মোচন করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সকালসন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে দুই মৌসুমের জন্য ৫৬ কোটি টাকায় বিপিএলের সম্প্রচারস্বত্ব কিনেছে মিলেনিয়াম মিডিয়া লিমিটেড, গাজী স্যাটেলাইট টিভি লিমিটেড, বেনটেক ও এশিয়াটিক এমইসি নামের চারটি প্রতিষ্ঠানের মিলিত কনসোর্টিয়াম। মিলেনিয়াম মিডিয়া এই কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্বে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি এবং কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খেলা সম্প্রচার করছে এই কনসোর্টিয়াম।’’ অর্থাৎ এক বছরের স্বত্ব ২৮ কোটি টাকা। এর এক টাকাও ভাগ পায় না অংশ নেওয়া দলগুলো।

পিএসএল দুই বছরের জন্য (২০২৪-২৫) ৩০ মিলিয়ন ডলারে টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছে স্থানীয় চ্যানেল ‘এ স্পোর্টস’-এর কাছে। অর্থাৎ এক বছরের জন্য চুক্তি ১৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। এই টিভি স্বত্বের ৮০ শতাংশ দেয় পিএসএলের দলগুলোকে, ২০ শতাংশ পিসিবির।

আর আইপিএলে জন্য বিসিসিআই ৫০ শতাংশ দেয় দলগুলোকে। ২০২৩-২০২৭ এই পাঁচ বছরের জন্য ডিজনি স্টার, ভায়াকম ১৮ এবং টাইমস ইন্টারনেটের কাছে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে পেয়েছে ৪৮ হাজার  ৩৯০ কোটি রুপি।

প্রশ্ন হচ্ছে, দেউলিয়া পাকিস্তানের লিগ পিএসএলের টিভি স্বত্ব কিনতে কেন বিপিএলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে এ স্পোর্টস। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে তো ক্রিকেট উন্মাদনা কম নয়। তাহলে সেই বাজারটা কেন তৈরি হল না?

পিএসএলে খেলা পাকিস্তানের প্রায় সব তারকাই নিয়মিত খেলছেন বিপিএলে। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, ডোয়াইন ব্রাভো, ডেভিড মিলার, আন্দ্রে রাসেল, রশিদ খান, এউইন মরগানের মত তারকারাও নিজেদের সেরা সময়ে খেলেছেন এখানে।

তারপরও বাজার তৈরি না হওয়া নিয়ে আইপিএল, পিএসএল, বিগ ব্যাশের মত লিগ খেলা ও এবার  রংপুর রাইডার্সে যোগ দেওয়া সাকিব আল হাসান ক্ষুব্ধ। তিনি বললেন, ‘‘বাংলাদেশের সব জায়গায় ক্রিকেট খেলা হয়। গ্রামে গ্রামে খেলা হয়, এত কিছুর পরও বাজার তৈরি করা যাবে না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন! বিপিএলের কোন বাজার নেই, কারণ কোনও বাজার তৈরিই করা হয়নি।”

বিপিএলের বাজার তৈরি না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে টি-স্পোর্টসের বিজনেস হেড আহমেদ রাকিব জানালেন, ‘‘একই সঙ্গে তিন চারটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলছে, যার ফলে বিপিএলে গ্লোবালি চাহিদা সেরকম নাই।  আমার কনটেন্ট যদি ভালো হয় তখন বিদেশেও এটা বিক্রি করতে পারব খুব ভালো দামে। আমি যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে ভালো দামে বিক্রি করতে পারতাম তাহলে যে দামে কিনেছি এর অর্ধেক উঠে আসত।’’

সময়ের সেরা তারকারা না থাকায় খুব বেশি স্পন্সর বিপিএল নিয়ে আগ্রহী নয় বলেও মনে করেন আহমেদ রাকিব,‘‘আমার দেশের বিজ্ঞাপন মার্কেটের অবস্থা এখন ভয়ানক খারাপ। আমাদের টেলিভিশনে চোখ রাখলেই দেখবেন নির্দিষ্ট কিছু বিজ্ঞাপন ছাড়া কেউ এই প্রোডাক্টের (বিপিএল) প্রতি আগ্রহী নয়। তাই আসলে এর চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’’

অন্য পথে জুয়ার আয়

বাংলাদেশের আইনে জুয়া নিষিদ্ধ। এর প্রচারণাও নিষিদ্ধ। অথচ টি-স্পোর্টস বা গাজী টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে ‘স্যারোগেট’ বা ছদ্মবেশী বিজ্ঞাপন। আইনি ঝামেলা এড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপনগুলোতে শুধু বানানে বা ওয়েবসাইট ঠিকানায় দু-একটি অক্ষরের তারতম্য রেখে দেওয়া হয়। যাতে সমস্যায় পড়লে অজুহাত দেয়া যায়, এটা তো বেটিং ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন নয়। কাছাকাছি নামের একটা কিছুর বিজ্ঞাপন দিয়ে দর্শকদের মাথায় শুধু ওই সাইটের নাম ঢুকিয়ে দেওয়াই এর লক্ষ্য। এসব প্রচার করে চ্যানেলগুলো যে মোটা অঙ্কের আয় করছে সেটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই।

বেটিং–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করায় ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি সেই সময়ের সম্প্রচারস্বত্বাধিকারী কনসোর্টিয়ামকে সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছিল বিসিবি, এরপর বন্ধও বিজ্ঞাপন। কিন্তু এজন্য ব্যবসা না হওয়ার অজুহাতে ২০২২–২৩ মৌসুমে সম্প্রচারস্বত্বের ওই সময়ের মালিকেরা বিসিবির কাছ থেকে ১০ কোটি টাকার মতো আর্থিক ছাড় পেয়েছিলেন বলেও জানান বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক!

ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি

বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি একেক সময় ছিল একেকরকম। নতুন তিন বছরের চক্রে মালিকানা পাওয়া প্রতিটা দল এক বছরের জন্য বিসিবিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেয় দেড় কোটি টাকা। এ নিয়ে বিসিবির মার্কেটিং অ্যান্ড কমার্শিয়াল ইনচার্জ ও বিপিএলের সমন্বায়ক সাইফুল আমিন মানব জানালেন, ‘‘প্রথম দুই আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ছিল ৮ কোটি টাকা। আমরা দলগুলোকে লভ্যাংশ দিয়েছি ৫ কোটি টাকা। এখন সেটা কমিয়ে দেড় কোটি টাকা করা হয়েছে।’’ ক্রিকেটারদের বেতনে মালিকরা গড়িমসি যেন না করে এজন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি’র সঙ্গে দিতে হয় ব্যাংক গ্যারান্টির একটা অঙ্কও।

আইপিএল আর পিএসএলে নির্দিষ্ট লম্বা সময়ের জন্য দেয়া হয় দলের মালিকানা। যেমন ২০১৫ সালে ১০ বছরের জন্য ৫টি দলের কাছে মোট ৯৩ মিলিয়ন ডলারে মালিকানা বিক্রি করেছে পিসিবি। সর্বোচ্চ ২৬ মিলিয়ন ডলারে করাচির মালিকানা কেনে এআরওয়াই গ্রুপ।

আইপিএলে ২০০৮ সালে আম্বানি গ্রুপের কাছে মুম্বাইয়ের মালিকানা বিক্রি হয়েছিল ৪৪৭.৬ কোটি রুপিতে। সেবার সবচেয়ে কম ২৬৮ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের মালিকানা। আইপিএলের যশ-খ্যাতি এতই বেড়েছে যে ২০২২ সালে লক্ষ্ণৌর কাছে মালিকানা বিক্রি হয় ৭ হাজার ৯০ কোটি রুপিতে!

টাইটেল স্পন্সর

তিন আসরের জন্য বিপিএলের টাইটেল স্পন্সরশিপ বিক্রি হয়েছে ১৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ প্রতি বছর ৫ লাখ ডলারের কিছু বেশি। পিএসএলে সেখানে ২০২২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত হাবিব ব্যাংক লিমিটেড চার বছরের জন্য টাইটেল স্পন্সরশিপ কিনেছে ২২.২ মিলিয়ন ডলারে, যা আগের চুক্তির চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি। এই খাতে থেকে প্রতি বছর পিসিবি পাচ্ছে ৫০ লাখ ডলারের বেশি। এটাও বিপিএলের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। স্পন্সরশিপ থেকে পিএসএলের দলগুলো পায় ৫০ শতাংশ আর পিসিবি ৫০ শতাংশ।

টাটা গ্রুপ ২০২৪ থেকে ২০২৮ পর্যন্ত আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ কিনেছে ২৫ হাজার কোটি রুপিতে। প্রতি বছরের জন্য সেটা ৫০০ কোটি রুপি। এই অর্থেও ভারতীয় বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ভাগ সমান ৫০ শতাংশ করে।

প্রাইজমানি

আইপিএলের প্রাইজমানি ৬১ কোটি টাকা। ৪০ কোটি টাকা প্রাইজমানিতে দুইয়ে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০, বিগ ব্যাশের সেটা ৩৯ কোটি আর পিএসএলের ৩৮ কোটি। আর বিপিএলে প্রাইজমানি কেবল ৪ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাপী সেরা দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের মধ্যে অঙ্কটা নবম। অথচ এবারের টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও বিসিবি কর্তারা আওড়েছেন পুরোনো বুলি, ‘‘আইপিএলের পর সবচেয়ে জমজমাট লিগ বিপিএল।’’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত