ভারতের সিনেমা বানানো মানে বড় রকমের বাজেট হাতে রাখতে হবে। প্রধান চরিত্র আর স্পেশাল ইফেক্টের পেছনেই বাজেটের বড় অংশ খরচ হয়ে যাবে। যত বড় তারকা নেয়া হবে সিনেমাতে, খরচের বোঝা ততই বাড়বে। যদিও বড় তারকা নিয়ে সিনেমা বানালেই বক্সঅফিসে সফলতা মিলবে তা নয়। খরচ উঠে না আসার মতো ডুবন্ত দশাও হতে পারে ওই সিনেমার।
২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা এমন পরিস্থিতির উপযুক্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছিল।
অজয় বেহেল পরিচালিত ‘দ্য লেডি কিলার’ সিনেমায় কাজ করেছেন অর্জুন কাপুর ও ভূমি পেড়নেকার। এই সাসপেন্স ড্রামা নির্মাণে খরচ হয়েছি ৪৫ কোটি রুপি। আর মুক্তির পর সিনেমার আয় হয় মোটে ৬০ হাজার রুপি। অর্থ্যাৎ আর্থিক ভাবে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশই ব্যর্থ হয়েছিল দ্য লেডি কিলার।
মুক্তির দিন মোটে ২৯৩টি টিকেট বিক্রি হয়েছিল এই সিনেমার। যা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফ্লপ সিনেমা তকমা পায় ‘দ্য লেডি কিলার’।
পরে এক সময় পরিচালক অজয় বাহল বলেছিলেন, ১১৭ পৃষ্ঠার চিত্রনাট্যের মধ্যে ৩০ পৃষ্ঠার উপর কোনো শুটিং করাই হয়নি। ওই দৃশ্যগুলো থাকলে সিনেমার কাহিনী ও চরিত্র হয়তো গভীরতা পেতো।
অন্যদিকে প্রডাকশনের তাড়াহুড়ার কারণে অর্জুন কাপুর ও ভূমি পেডনেকার সিনেমার প্রচারেও নামতে পারেননি। প্রচারণার এই ঘাটতি থেকে দর্শকের কাছে সিনেমা নিয়ে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি আগে থেকে।
অনেকেই বলছেন, সিনেমার পরিণতি গোছালো ছিল না, যা দর্শককে হতাশ করে। যে কারণে দ্য লেডি কিলার দর্শকের নেতিবাচক রিভিউ পায়।
২০২৩ সালের নভেম্বরে অল্প সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল এই সিনেমা। আসলে ডিসেম্বরে মুক্তি দিতে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল এই সিনেমার। চুক্তি সাপেক্ষে আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে হতো। কিন্তু হলে মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া ভালো না হওয়াতে নেটফ্লিক্সের আগ্রহও ফুরিয়ে আসে।
অবশেষে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে টি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় এই সিনেমা। বিনা পয়সায় সিনেমা দেখার সুযোগ পেয়েও দেদারসে গালাগাল করেছে দর্শক। আর এ ভাবেই এরমধ্যে জুটে গেছে ৩৫ লাখ ভিউ।
ছোট শহরের এক প্লেবয় স্বভাবের তরুণ রহস্যময়ী নারীর ফাঁদে পড়ে যায়। তারপর থেকেই নানা ঘটনা ঘটে চলে।
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা বোস, সঞ্জয় মিশরা, সৌরভ শুকলা, এম এস জহির।
আইএমডিবিতে এই সিনেমার রেটিং ১.৯/১০।