Beta
বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫
সিলেটে মতবিনিময় সভায় সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান তোফায়েল

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্ন, কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না

Sylhet-Meeting
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি না হওয়ায় সেগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার সিলেটে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইউএনডিপির সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে নগরীর একটি হোটেলে এ মতবিনিময় সভা হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেক পুরনো। পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়নি। ফলে এগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, ড. মাহফুজ কবীর, মাশহুদা খাতুন শেফালী, ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী ইলিরা দেওয়ান, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার দপ্তরের পরিচালক ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহ্সান শাহ ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের সরকার সংসদীয় পদ্ধতির কিন্তু স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতি শাসিত উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন একেকটি একেকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, প্রচলিত কাঠামোয় প্রতিষ্ঠানগুলো এক ব্যক্তির কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলে কাউন্সিল অধিবেশনে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আবার এ অধিবেশনও ঠিকমত হয় না। প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় কাউন্সিল সত্যিকার অর্থে কার্যকর হচ্ছে না।

সভায় সাবেক জনপ্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য সেবা জনবান্ধব, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বন্ধ, নারী কোটা কার্যকর, সাংগঠনিক কাঠামো পুনঃনির্ধারণ, জবাদিহিমূলক পরিবেশ তৈরি, শিক্ষিত মানুষদের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত