বাফুফে কতটা চেনে পিটার বাটলারকে? তার অতীত প্রোফাইল ঘাটলে দেখা যাবে এন্তার বিতর্ক ও অভিযোগে ভর্তি ফুটবল কোচিং ক্যারিয়ার।
এর মধ্যে কখনও তার বর্ণবাদী চরিত্রের প্রকাশ ঘটেছে। কখনও-বা জাতীয় দল নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, এমনকি ফুটবলারদের নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা তার চরিত্রেরই অংশ। ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস ধসিয়ে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সে সবই এর আগে বিভিন্ন দেশে করে এসেছেন ৫৮ বছর বয়সী বৃটিশ কোচ।
মালয়েশিয়ায় বরখাস্ত হয়েছিলেন বাটলার
২০১২ সালে বাটলার কোচ ছিলেন মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফএ ক্লাবের। ওই সময় নির্ধারিত চুক্তি শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই তাকে বরখাস্ত করে ক্লাবটি।
বাটলার তার দলের গোলরক্ষককে কোনও প্রমাণ ছাড়াই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। ওই গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু এতেই বাটলার ধরে নেন, গোলরক্ষক ম্যাচ পাতিয়েছেন। যা পরে মালয়েশিয়ার ফুটবল অঙ্গনে প্রচুর বিতর্কের জন্ম দেয়। এছাড়া তিনি আরও দুই ফুটবলারকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
বাটলারের বরখাস্তের খবর ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশ করেছিল।
ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের এই সাবেক মিডফিল্ডার যদিও বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।
বাটলার আরেকবার বিতর্কে জড়ান যখন তেরেঙ্গানুর গোলরক্ষক শারবিনি আলাওয়ি মালয়েশিয়া কাপের ম্যাচে কেদাহের বিপক্ষে লাফিয়ে ওঠা বল তার হাতে লেগে নিজের জালে যায়। ফলে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
এই ঘটনার পর বাটলার শারবিনিকে মাঠ থেকে তুলে নেন এবং তাকে প্রকাশ্যে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। পরে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের পর এবং লাই-ডিটেক্টর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ শারবিনিকে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।
ফুটবলারকে কটাক্ষ করে লাইবেরিয়ায় বিতর্কে জড়ান
২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাটলার ছিলেন লাইবেরিয়ার জাতীয় দলের কোচ। ওই সময়ে লাইবেরিয়া জাতীয় দলের স্ট্রাইকার স্যাম জনসনকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমি যাত্রী বহন করি না।”
এই সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে ফ্রন্ট পেজ আফ্রিকা অনলাইন পত্রিকায়। লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়া থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদেনে বলা হয়, লাইবেরিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমস পিটার বাটলার স্ট্রাইকার স্যাম জনসনের জাতীয় দলে ফেরার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন।
লাইবেরিয়ার জাতীয় দলের তখনকার অধিনায়ক স্যাম জনসন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “জনসন ফিট নন এবং ৯০ মিনিট খেলতে সক্ষম নন। আমি এমন খেলোয়াড়দের দলে রাখতে চাই যারা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি তার ক্লাব ও টেকনিক্যাল স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং কিছু জিনিস এখানে বলা সম্ভব নয়। তবে আমি যাত্রী বহন করি না, আমি দল গড়ছি।”
অথচ ওই মৌসুমে স্যাম জনসনের ক্লাব পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। সুইডিশ লিগ অলস্ভেনস্কানে তিনি প্রথম লিগ ম্যাচেই গোল করেছিলেন। মাঝে এক ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করার পর, জনসন তার ক্লাব মিয়ালবির হয়ে ১২ মিনিটে গোল করেন এবং তারা আইএফ এলফসবোর্গের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জেতে। তবে জনসন পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি এবং ৪৬তম মিনিটে তাকে বদলি করা হয়। অথচ এই ফুটবলার সম্পর্কে বাটলারের মন্তব্য ছিল, দলে সে বোঝা হয়ে থাকবে! কোনও বাড়তি বোঝা বা যাত্রীকে দলে টানতে চান না বাটলার। কি হাস্যকর যুক্তি কোচের?
ঠিক একই ধরনের কাজটাই তিনি করেছিলেন নেপালে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ হয়ে। গত বছর সাফের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশ সাজিয়েছিলেন মাসুরা, সানজিদা, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকারদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের বাদ দিয়ে। শেষ মুহূর্তে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে কোনও রকমে হারতে হারতে ড্র করে বাংলাদেশ । এরপর ভারতের বিপক্ষে বলা যায় কোচের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েই একাদশ সাজান ফুটবলাররা। বলা ভালো কোচকে সিনিয়র ফুটবলাররা বাধ্য করেন তাদের পছন্দের দল গড়তে। বাকিটা তো ইতিহাস। ভারতের বিপক্ষে তো জিতলই। নেপালকে হারিয়ে টানা দুবার সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
জাতীয় দল নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ
লাইবেরিয়া জাতীয় দল গড়তে ২০২১ সালে পক্ষপাতিত্ব করেছিলেন বাটলার। কোনও নিয়মনীতি ও স্বচ্ছতার তোয়াক্কা না করে লাইবেরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশেনের (এলএফএ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ক্লাবের ফুটবলারদের নিয়ে জাতীয় দল গড়েন তিনি। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় লাইবেরিয়ার লিব ব্লেচার স্পোর্টস -এ ২০২১ সালের ৫ জুন।
ফ্রান্সিসকো পাইজিবো নামের এক ফুটবলারকে জাতীয় দলে নেওয়ায় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল লাইবেরিয়ায়। পাইজিবোর ক্লাব সেসে ইউনাইটেডের সভাপতি এলএফর কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য। যদিও পাইজিবোকে জাতীয় দলে অবৈধভাবে ঢোকানোর অভিযোগকে “ননসেন্স” বলে তখন উড়িয়ে দেন বাটলার।
গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে বিদ্রোহ করা কয়েকজন ফুটবলারকে দল থেকে বাদ দিতে চান বাটলার। কি কাকতালীয় ব্যাপার, বুধবার যখন বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন তিনি কিন্তু একই ভাষায় উত্তর দিয়েছেন, “আমি কয়েকজনের নাম দিয়েছি, তারা থাকলে আমি কোচিং করাব না। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার অনুশীলনে যাচ্ছেন না এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা ননসেন্স এবং এসব বন্ধ হওয়া দরকার।”
ওই সময় বাটলার লাইবেরিয়াতে থাকাকালে ফ্রেড গায়ের নামে আরও একজন ফুটবলারের জাতীয় দলে অর্ন্তভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গায়ের ঘরোয়া ফুটবলে খেলতেন পাগস এফসির হয়ে। যে ক্লাবের সভাপতিও এলএফএর নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ পিটারের বিরুদ্ধে
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বতসোয়ানার গাবোরোন ইউনাইটেড ক্লাবের ফুটবল পরিচালক ছিলেন বাটলার। ওই সময় তিনি একাধিক ফুটবলারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। বতসোয়ানার গ্যাবোরন ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাবের স্পোর্টস ম্যানেজার ও পাওয়ার প্লে স্পোর্টস গ্রুপ নির্বাহী পরিচালক ওয়ে মোলাওয়া তখন বলেছিলেন, “পিটার বাটলার একজন বর্ণবাদী, যিনি মনে করেন শ্বেতাঙ্গ হওয়া একটি বিশেষাধিকার। তখন বাটলার বলেছিলেন, “কালো মানুষেরা মাতাল ও অলস।”
বাটলারের বর্ণবাদী আচরণের কড়া সমালোচনা করে সংবাদ ছাপা হয়েছিল বতসোয়ানার পালাপাই পত্রিকায় ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
একটি সফল মেয়াদের পর, কোচ ওয়ে মোলাওয়া গাবোরোন ইউনাইটেডের সঙ্গে গাটছড়া ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়, স্টাফ এবং ভক্তদের জন্য ছিল বড় ধাক্কা। কারণ পেছনের বছরগুলিতে তার হাত ধরেই সাফল্য আসছিল ক্লাবে। তার বিদায়ের প্রধান কারণ হিসেবে ক্লাবটির ফুটবল পরিচালক পিটার বাটলারের সঙ্গে একাধিক অমীমাংসিত মতবিরোধকে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
পিটার বাটলার দলের ফুটবল-সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকি করতেন। যদিও এই মতবিরোধের নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি, তবে সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে থাকতে পারে- দলের খেলার ধরন, দল গঠন এবং কৌশলগত পদ্ধতি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ফুটবলার সাইনিং এবং নিয়োগ কৌশল নিয়ে মতপার্থক্য, যেগুলো কোচের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিলছিল না।
‘সবচেয়ে বাজে ইংলিশ কোচ বাটলার!’
লাইবেরিয়ার পুরস্কারজয়ী ক্রীড়া সাংবাদিক মোয়েস কে গারজিয়াও বাটলারের আচরণে এতটাই ঘৃণা প্রকাশ করেন যে এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “তুমি একজন সবচেয়ে বাজে ইংলিশ কোচ। ফুটবলার থেকে যে তুমি কোচ হয়েছো সেই রেকর্ডও ভালো না। তুমি একটা বিষয়ই ভালো পারো, সেটা হলো ঔদ্ধত্য। তোমার মতো এমন অশিক্ষিত বৃটিশ আমি আর কখনোই দেখিনি। একজন পর্যটক হিসেবেও তুমি কখনও এখানে আসবে না।”
২০২২ সালে লাইবেরিয়া থেকে সরাসরি বাংলাদেশে এসে বাফুফের এলিট একাডেমিতে যোগ দেন বাটলার। কিন্তু গত বছর গোলাম রব্বানী ছোটন কোচের দায়িত্ব ছাড়লে সাফের আগে বাটলারকে নারী দলের দায়িত্ব দেয় বাফুফে। শুরুতেই সিনিয়রদের বাদ দেওয়ার নামে সাবিনা খাতুনকে চীনা তাইপের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে ভেলকি দেখান।
নেপালে গিয়ে ফুটবলারদের বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছেন তিনি, যা কাঠমান্ডুতে কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকেরা দেখেছে। ইচ্ছেমতো দল গড়ে সাফের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ভরাডুবির পেছনেও ফুটবলাররা দায়ী করেন এই কোচকে। তিন পৃষ্ঠার যে অভিযোগ বাফুফে সভাপতি বরাবর দিয়েছেন মেয়েরা, সেখানেও তারা লিখেছেন মাঠে ও মাঠের বাইরে প্রতিনিয়ত কোচ দুর্ব্যবহার করেন ফুটবলারদের সঙ্গে। এমনকি অনুশীলনে লিপস্টিক, লিপবাম ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন কোচ। সিনিয়র-জুনিয়রের কথা বলে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছেন।
ফুটবলাররা লিখেছেন, গত ছয় মাসে পিটারের কাছ থেকে আমাদের অনেক গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আমাদের মানসিক হয়রানি এবং উৎপীড়নের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন কোচ। তার কারণে ক্যাম্পে একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। খেলোয়াড়রাও তাতে ভীষণ অসম্মানিত এবং হতাশার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে দলের সিনিয়র সদস্যরা, ধারাবাহিক বৈষম্য এবং অন্যায় আচরণের শিকার হচ্ছেন। কোচের এসব আচরণ কেবল অবমাননাকর নয়, দলগতভাবে পারফরম করার ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করেছে।
ফুটবলারদের খোঁচা মেরে কথা বলাটা অভ্যাস বাটলারের। ইংল্যান্ড থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরেই বাফুফে ভবনের বারান্দায় দাঁড়ানো মিডিয়া এক্সিকিউটিভ খালেদ মাহমুদ নওমিকে দেখিয়ে ফুটবলারদের বলেন, “ওই যে তোমাদের কোচ।”বিষয়টা যে মোটেও ভালো লাগেনি ফুটবলারদের, সেটা পরে বলেছেন তারা।
বাংলাদেশেও অপেশাদার আচরণ বাটলারের
বাফুফের বিশেষ কমিটি যখন চলমান সঙ্কট নিয়ে তদন্ত করছে, সেই সময় বাটলারের ‘কয়েকজন নারী ফুটবলার থাকলে তিনি থাকবেন না’– মন্তব্য অপেশাদার এবং রীতিমতো শৃঙ্খলা বর্হিভূত।
কাঠমান্ডু সাফে পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্রয়ের পর মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “কোচ সিনিয়রদের পছন্দ করে না।” খেলোয়াড় হিসেবে টুর্নামেন্ট চলাকালে তার এই মন্তব্যও ছিল বিধি বর্হিভূত। অথচ শতভাগ পেশাদার দাবি করা পিটার বাটলার শৃঙ্খলা ভেঙেছেন খেলোয়াড়দের চেয়েও বেশি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি বলেছিলেন– “ইংল্যান্ডে হলে এই খেলোয়াড়দের বহিষ্কার করতেন।”
যে ফুটবলারদের দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন সেই তারাই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাফে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে।
যে কোচের এত আচরণগত সমস্যা, যাকে নিয়ে অতীতে বিভিন্ন ক্লাব ও জাতীয় দলে তৈরি হয়েছে এত বিতর্ক, তাকে আবারও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়ার আগে বাফুফে কর্তাদের অবশ্যই ভাবা উচিত ছিল।
নারী ফুটবলাররা কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলের শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ফুটবলাররা যে দ্রোহের আগুনে পুড়ছেন। অন্যায়ের শেকলগুলো ভেঙে তবেই সাবিনারা ফিরতে চান মাঠের ফুটবলে। তাদের এই চাওয়া নিশ্চয় অন্যায় কিছু নয়।