দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে টেবিল টেনিসে ভারত অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে বাংলাদেশের সামনে। নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও পাকিস্তানকে টপকাতে পারলে বাংলাদেশ সরাসরি প্যারিস অলিম্পিক খেলার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের মধ্যে কোটা প্লেস নিয়ে সরাসরি অলিম্পিক খেলেছেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও আর্চার রোমান সানা। কোটা প্লেস এখনো এখানকার ক্রীড়াবিদদের কাছে স্বপ্নের মতো বিষয়। সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মঞ্চ হতে যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ মে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অলিম্পিক বাছাই। নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। শনিবার সকালেই নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ।
এ আসরে ছেলে ও মেয়েদের একক ইভেন্টে খেলা হবে। এর প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন লম্বা সময়ের জন্য অনুশীলন ক্যাম্প পরিচালনা করেছে। দুই সপ্তাহের জন্য ভারত থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল অভিজ্ঞ কোচ মিহির ঘোষকে। এ কোচের দিকনির্দেশনায় প্যাডলারদের সরাসরি অলিম্পিক খেলার স্বপ্নটা নতুন রং পেয়েছে।
এ আসরে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। বিশেষ করে দেশটির খেলোয়াড় সেনোরা সিলভা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এ প্যাডলার লঙ্কানদের হয়ে খেলবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা স্বাগতিক নেপালের শান্ত শ্রেষ্ঠাও বাংলাদেশের সামনে বাধার দেয়াল তুলে দাঁড়াতে পারেন। নারী বিভাগে মালদ্বীপের ধিমা আলী ছাড়াও শ্রীলঙ্কাও শক্তিশালী।
ছেলেদের বিভাগে মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় ও রামহিম লিওন বম এবং নারী বিভাগে সাদিয়া রহমান মৌ ও সোনাম সুলতানা সোমা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ছেলে ও নারী বিভাগের দুই চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে অলিম্পিক খেলার ছাড়পত্র পাবেন। দারুণ এ সুযোগ লুফে নেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মৌ, ‘এ অঞ্চল থেকে বরাবরই ভারত অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করত। এবার দেশটি আগেই কোটা প্লেস পেয়ে গেছে। এ কারণে আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সে সুযোগটা আমরা নিতে চাই।’