দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে এক হাজার ৪৮২ টাকার বদলে এই সিলিন্ডার বিক্রি হবে এক হাজার ৪৪২ টাকায়। একই সঙ্গে কমেছে অটোগ্যাসের দামও।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
মার্চে এই সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ানো হয়েছিল ৪১ টাকা।
সংবাদ সম্মেনে বলা হয়, সৌদি আরামকোর মাধ্যমে নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় মূল্য মার্চে ছিল ৬৩৬ দশমিক ৫০ ডলার; এপ্রিলে তা ১৮ দশমিক ২৫ ডলার কমে ৬১৮ দশমিক ২৫ ডলার হয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছিল ১২০ টাকা ৫২ পয়সা, মার্চে সেটা আরেকটু কমিয়ে ১১৯ টাকা ৮৯ পয়সা ধরা হয়েছে। এপ্রিলে ডলারের মূল্য ধরা হয়েছে ১১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। এই দুই কারণে এবার এলপিজির দাম কমেছে।”
একই সঙ্গে এপ্রিল মাসের জন্য বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত রেটিকুলেটেড পদ্ধতির এলপিজির দাম ঠিক করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৩৬ পয়সা। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ৬৬ টাকা ২১ পয়সা।
বিইআরসির নির্ধারিত দামে এলপিজির সিলিন্ডার বাজারে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে তিনি বলেন, “ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”