Beta
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
[publishpress_authors_box]

নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের ঘোষণার তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এই তারিখ ধার্য করেছে।

১৭ বছর আগে করা ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। 

মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।

এরপর ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, লন্ডনে ছেলের বাসায় ‘আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছেন’ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে।

কোভিড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিলেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।

ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। কারামুক্তির পাঁচ মাস পর জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

অধ্যাপক জাহিদ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে অর্থাৎ প্রফেসর প্যাট্টিক কেনেডি, প্রফেসর জেনিফার ক্রস এবং ড. ব্যারেডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।

খালেদা জিয়া কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “এখনই তা বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা যেদিন তাকে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেবেন বা ম্যাডাম মনে করবেন তিনি দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় মধ্যে আছেন তখনই ফিরবেন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত