অভিষেকের ঠিক আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে দেশটিতে পুনরায় কার্যক্রম চালু করেছে টিকটক।
চীনের এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটককে কোনও ধরনের শাস্তি পেতে হবে না- নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের এই আশ্বাসের ভিত্তিতে অ্যাপটি আবার চালু করা হচ্ছে।
রবিবার এক সমাবেশে টিকটকের পক্ষে ট্রাম্প বলেন, “সত্যি বলতে কি, আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প নেই। আমাদের এই অ্যাপের পাশে দাঁড়াতেই হবে।”
গত শুক্রবার টিকটক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অনমনীয় অবস্থান নিয়েছে, সেখান থেকে তারা সরে না এলে রবিবার সেবা দেওয়া বন্ধ রাখা হবে।
সে অনুযায়ী রবিবার সকাল থেকেই টিকটকে ঢুকতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা।
চীন সরকারের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি আইন পাস হয়। তাতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার নিরপেক্ষ কারও কাছে বিক্রি করে দিতে হবে। নয় তো যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হবে।
এরপর গত আগস্টে টিকটকের বিরুদ্ধে মামলা করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বেআইনিভাবে শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করছে এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করলে তাতে সাড়া দিচ্ছে না অ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
টিকটক কর্তৃপক্ষের সেসময় ধারণা ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সই করা আইনটির বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে তারা জয় পাবে।
কিন্তু গত শুক্রবার টিকটকের শেয়ার বিক্রির আইন বহাল রেখেই আদেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট।
আদেশ পেয়ে টিকটক জানায়, আইনটি বাতিলে সরকার কোনও পদক্ষেপ না নিলে রবিবার দেশটিতে অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
কিন্তু ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে বেশিক্ষণ বন্ধ থাকেনি টিকটক।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে টিকটক নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু গত নভেম্বরে পুনর্নির্বাচিত হয়ে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে তিনি জানান, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তরুণদের ভোট পেতে টিকটক তাকে সহযোগিতা করে।
একই সঙ্গে ট্রাম্প এ ইঙ্গিতও দেন, তিনি টিকটক নিষিদ্ধের বিপক্ষে।
ট্রাম্প জানান, টিকটক ঘিরে তার সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে। এ নিয়ে তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথাও হয়েছে।