বিপিএলে এবারের মিরপুরের উইকেটগুলো ব্যাটিং বান্ধব। রানও উঠছে বেশ। সেই ধারায় আজ (সোমবার) চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২০৩ রান করেছিল খুলনা টাইগার্স।
এমন উইকেটেও চিটাগংয়ের ব্যাটাররা ধুঁকলেন। শামীম হোসেন অবশ্য ব্যতিক্রম। ‘নিঃসঙ্গ শেরপার’ মতো লড়াই করলেন একা। খেললেন ৩৮ বলে ৭ বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস। কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং। খুলনা পায় ৩৭ রানের জয়। ২২ বলে ৫৯* রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। ১৮ বলে ফিফটি করেন তিনি যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম।
এই ম্যাচে আলোচনা হয়েছে চিটাগংয়ের টম ও’কনেলের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে। ব্যাটিংয়ে নামতে দেরি করায় তাকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে সেটা হতে দেননি খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
ও’কনেলের বিপক্ষে আবেদনটা করেছিলেন খুলনার অধিনায়ক মিরাজই। শুধু তাই নয়, মাঠের আম্পায়ার তানভীর আহমেদের সঙ্গে তর্কও করেন এ নিয়। পরে অবশ্য ‘মহানুভবতা’ দেখিয়ে ও’কনেলকে ফিরিয়ে আনেন মিরাজ। ততক্ষণ কেটে যায় নাটকীয় ৫ মিনিট। সেই ব্যাটার অবশ্য মোহাম্মদ নেওয়াজের করা প্রথম বলেই আউট, তাও মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘টাইমড আউট’ হয়েছিলেন সাকিব আর হাসানের আবেদনে। এবার অবশ্য আবেদন করেও ফিরিয়ে নিলেন মিরাজ।
টাইমড আউট নিয়ে এমসিসির ৪০.১.১ ধারায় বলা আছে, ‘‘উইকেট পতনের পর বা ব্যাটার রিটায়ার্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটার ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পরের বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবেন। এই শর্ত পূরণ না হলে টাইমড আউট হবেন ব্যাটার।’
টম ও’কনেল মাঠে নেমেছিলেন ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের পরই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ২০৩/৪ (বোসিস্টো ৭৫*, মাহিদুল ৫৯*, নাঈম ২৬; আলিস ২/১৭, খালেদ ২/৪৫)। চিটাগং কিংস: ১৮.৫ ওভারে ১৬৬
(শামীম ৭৮, উসমান ১৮, খালেদ ১৪; আবু হায়দার ৪/৪৪, নেওয়াজ ২/১৩)। ফল: খুলনা টাইগার্স ৩৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহিদুল ইসলাম।