Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচার : বিপু ও তার স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

নসরুল হামিদ বিপু।
নসরুল হামিদ বিপু।
[publishpress_authors_box]

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তার স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল ও সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।

দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, তিনটি মামলাতেই নসরুল হামিদ বিপুকে আসামি করা হয়েছে। আর তার ছেলে জারিফ হামিদ ও স্ত্রী সীমা হামিদ একটি করে মামলায় আসামি হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মোট ৬৪ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে অর্থ পাচার করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থেকে তিনি অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।

এছাড়া তার নিজ নামে ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৩ টাকা জমা এবং মোট ৩ হাজার ১৮০ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭২৯ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

মামলায় আসামি বিপুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বিপুর ছেলে জারিফ হামিদের (৩৩) বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার বাবা নসরুল হামিদ বিপুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ২০ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার জন্য মামলায় জারিফের সঙ্গে তার বাবা নসরুল হামিদ বিপুকেও আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া জারিফ নিজ নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২৭ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩১ টাকা জমা এবং পরে ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৭ টাকা তুলে নিয়েছেন। তিনি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়।

বিপুর স্ত্রীর সীমা হামিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ, সীমা হামিদ পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামী নসরুল হামিদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯১২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।

এছাড়া সীমা হামিদ নিজের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে অর্থ পাচারের অপরাধ করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এই দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা,  মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত