জাকজমক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরু হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিক। স্টেডিয়ামের বদলে অনুষ্ঠানটা হয় সিন নদীতে। লেডি গাগার গান থেকে শুরু করে মোনালিসা চুরি ও খুঁজে পাওয়া, ফরাসি বিপ্লব, ফ্রান্সের ঐতিহ্য ফুটিয়ে হৃদয় কেড়েছিলেন আয়োজকরা।
অলিম্পিকের শেষটাও হলো মনোমুগ্ধকর। ফ্রান্সের রক ব্যান্ড ‘ফিনিক্স’ উপহার দিল অসাধারণ সব গান। ড্রাম এবং ইলেকট্রিক গিটারের মূর্ছনায় মজে গেলেন স্তাদ দ্য ফ্রাঁসের ৭০ হাজার দর্শক। ‘ফিনিক্স’-এর সঙ্গে গাইলেন আর এক ফরাসি শিল্পী কাভিনস্কি। গেয়েছে রক ব্যান্ড ‘রেড হট চিলি পিপার্স’। তাদের গান ‘ক্যালিফোর্নিকেশন’ ক্যালিফোর্নিয়া বা হলিউডকে ভিত্তি করেই লেখা।
বিশেষ অংশ ছিল গোল্ডেন ভয়েজার। ইতিহাসের চরিত্র গোল্ডেন ভয়েজারের পরিবেশনায় ফ্রান্সের ঐতিহ্য, বাস্তিলের চেতনা যেমন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গোল্ডেন ভয়েজারের পরিবেশনায় ছিল ১৯৭৭ সালে পাঠানো মহাকাশযান ভয়েজারও।
অলিম্পিকের ‘রিং’গুলো মাঝআকাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচটি ‘রিং’ পাঁচটি মহাদেশের প্রতীক। সেই পারফরম্যান্স চলার সময় ফ্রান্সের পিয়ানিস্ট তথা অপেরা গায়ক বেঞ্জামিন বার্নহাইম গাইলেন ‘হিম টু অ্যাপোলো’। সুইজারল্যান্ডের অ্যালেন রোশে শূন্যে ভেসে থাকা একটি পিয়ানো বাজিয়ে সঙ্গ দেন তাকে।
পরবর্তী আসর আয়োজনের স্মারক হিসেবে অলিম্পিক পতাকা নেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস। সবচেয়ে আলোচিত ছিল হলিউড তারকা টম ক্রুজের ‘মিশন ইম্পসিবল’-এর পারফর্ম্যান্স। পায়ে হেঁটে নন, তিনি মঞ্চে আসেন স্তাদ দ্য ফ্রাঁসের ছাদ থেকে ডাইভ দিয়ে। ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের ‘ফলআউট’ সিনেমায় ক্রুজকে দেখা গিয়েছিল ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে থাকা একটি বিমান থেকে ডাইভ দিতে। তার এই ‘স্টান্ট’ মনে করাচ্ছিল মিশন ইম্পসিবলকেই।
সিমোন বাইলসের হাত থেকে পতাকা নিয়ে একটি মোটরবাইকে চেপে আবার ‘স্টান্ট’ দেখিয়ে স্টেডিয়াম ঘুরে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান ক্রুজ।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ফ্রান্সের সাঁতারু লিয়ঁ মাঁখচা অলিম্পিক্সের মশাল নিয়ে স্টেডিয়ামে আসেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থার প্রধান টমাস বাখ ঘোষণা করেন শেষ হল প্যারিসের আসর।