চরম নাটকীয় এক ম্যাচ মঞ্চায়িত হলো সিগনাল ইদুনা পার্কে। এই বার্সেলোনা এগিয়ে গেল তো খানিক পরই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড সমতায় ফিরল। আবার বার্সেলোনায় লিড পেতে না পেতেই জার্মান ক্লাবটি ঘুরে দাঁড়াল। দ্বিতীয়ার্ধের পরতে পরতে রোমাঞ্চের সুবাস ছড়ানো ম্যাচটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাই জিতেছে। ফেরান তোরেসের জোড়া গোলে ডর্টমুন্ড-দুর্গ জয় করেছে কাতালানরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। সিগনাল ইদুনা পার্কে এটা কাতালান ক্লাবটির প্রথম জয়। এর আগে ডর্টমুন্ডের মাঠে খেলা দুটি ম্যাচই ড্র করেছিল তারা। ডর্টমুন্ড-জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে হান্সি ফ্লিকের দল। ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে ডর্টমুন্ড।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। রাফিনিয়া সুযোগ নষ্ট করায় হয়নি তা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এই ব্রাজিলিয়ানের গোলেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫২ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে ডর্টমুন্ডের বক্সের ভেতর ঢুকে আড়াআড়ি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রাফিনিয়া।
তবে বার্সেলোনার গোল উদযাপন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান সেরহোউ গুইরাসি। নিজেদের বক্সের ভেতর বার্সেলোনা ডিফেন্ডার পাউ কুবারসি ফাউল করেছিলেন এই গিনিয়ান ফরোয়ার্ডকে। পরে তিনিই স্পট কিক থেকে গোল করে ডর্টমুন্ডকে খেলায় ফেরান।
বার্সেলোনা আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। একটা পর্যায়ে খেলার ছক ভিন্নভাবে সাজাতে ফ্লিক মাঠে নামান ফেরান তোরেসকে। ৭১ মিনিটে মাঠে নামা এই ফরোয়ার্ডই গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের পার্থক্য। বদলি হয়ে মাঠে নামার চার মিনিট পরই বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন তোরেস।
জুলেস কুন্দের ক্রস বাতাসে ভাসা অবস্থায় শট করেছিলেন ফেরমিন লোপেস। ডর্টমুন্ড গোলকিপার গ্রেগর কোবেল প্রতিহত করলেও বল হাতে জমাতে পারেননি। তার হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বল গোলমুখের সমানে থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তোরেস।
কিন্তু ডর্টমুন্ড হাল ছাড়েনি। তিন মিনিট পর, ৭৮ মিনিটে স্বাগতিকরা আবার সমতায় ফেরে। এবারও তাদেরকে ম্যাচে ফেরান গুইরাসি। বার্সেলোনা গোলকিপার ইনাকি পেনা বক্স ছেড়ে বেরিয়ে এলে ফাঁকা পোস্টে সহজ লক্ষ্যভেদ এই গিনি ফরোয়ার্ডের।
ম্যাচের উত্তেজনা তখনও শেষ হয়নি। ৮৫ মিনিটে সিগনাল ইদুনা পার্ককে স্তব্ধ করে বার্সেলোনাকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন তোরেস। লামিন ইয়ামালের চমৎকার পাস ধরে বক্সের ভেতর ঢুকে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে আড়আড়ি শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এই গোলটাই দুর্দান্ত জয় এনে দিয়েছে বার্সেলোনাকে।