Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কীভাবে চিনবেন টক্সিক বস

toxic boss final
[publishpress_authors_box]

ধরুন আপনি একজন চাকরি প্রত্যাশী। ইন্টারভিউর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন খুব শিগগিরই। চাকরি হবে কি হবেনা, হলে কর্ম পরিবেশ কেমন হবে, তারচেয়েও বড় কথা কেমন হতে যাচ্ছে আপনার সম্ভাব্য বস? এসব বিষয় আপনাকে খুব বেশি করে ভাবাচ্ছে। হতে পারে আপনার আগের কর্মস্থল ছিল বস সংক্রান্ত নানান তেতো অভিজ্ঞতায় ভরপুর। একজন টক্সিক বসের কারণে আপনার জীবন ছিল জেরবার। কিন্তু কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকলে আপনি এড়াতে পারেন এমন কর্মস্থল অথবা হতে পারেন সতর্ক যেখানে ঊর্ধ্বতন অথবা বস একজন টক্সিক অথবা নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের মানুষ। চলুন জেনে নেওয়া যাক স লক্ষণগুলো-

আপনি যেন কে?

ইন্টারভিউ দিতে নির্দিষ্ট রুমে প্রবেশ করলেন। কয়েক মিনিট না যেতেই বুঝতে পারলেন আপনার ভবিষ্যত বস আপনার সিভি এমনকি ছুঁয়েও দেখেননি। অথচ আপনি আশা করছিলেন আপনার অতীত কাজ সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নিয়ে তিনি আপনার সাথে আলাপ শুরু করবেন। বাস্তবে আপনার সাথে যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে ধরে নেবেন সম্ভাব্য বস অথবা ঊর্ধ্বতনের কাছে আপনার সময়ের মূল্য যেমন কম, ঠিক তেমনি কর্মক্ষেত্রে স্টাফদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানোর ক্ষেত্রে তার আগ্রহও কম।

ব্যক্তিগত সীমারেখা যেন ভেঙ্গে পড়া বার্লিন ওয়াল! 

ইন্টারভিউ শেষে আবিষ্কার করলেন সম্ভাব্য বসের প্রেমঘটিত এবং ব্যক্তিগত নানা সংকটের খবর আপনি জানেন। তথ্যদাতা আর কেউ নন। ইন্টারভিউয়ার বস নিজেই। এ ধরনের বসেরা না বস, না বন্ধু– এমন একটা টেরিটোরিতে সবসময় অবস্থান করেন। একই সাথে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও প্রবেশের চেষ্টা চালান। ফলে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় জটিলতা। 

দায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা না থাকা

সম্ভাব্য কর্মক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাওয়া আপনার অধিকার। অথচ এমন অনেক বস আছেন যারা এই প্রশ্নটি শুনতে অপছন্দ করেন। পাশাপাশি আপনার সম্ভাব্য কাজের ক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব কী হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন ধারণাও রাখেন না। পরিস্থিতি যদি এমন হয়, তবে মাথায় রাখুন- নির্দিষ্ট পদের বাইরে আপনার জন্য কাজের বোঝা অপেক্ষা করছে।

ক্যারিয়ার গ্রোথ?

সম্ভাব্য পদে দায়িত্ব পালন করে আপনার ভবিষ্যত পদোন্নতি, সুযোগ সুবিধার ক্রমবিকাশ ইত্যাদি কতটা হবে বা কতদিনে হবে ইত্যাদি প্রশ্নে ইন্টারভিউয়ারের অথবা সম্ভাব্য বসের যদি ভ্রূ কুঁচকে যায় তবে বুঝতে হবে তিনি আপনাকে একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন ছাড়া অন্য কিছু মনে করেন না। যিনি মনে করেন, আপনার কাজ হলো কেবল মাথা গুজে কাজ করে যাওয়া। ইন্টারভিউতেই যদি এমন মানসিকতার আভাস পান তবে আপনার কপালে খারাপি আছে। এবার চাকরি করা না করা আপনার সিদ্ধান্ত।    

চাকরি যেন চ্যারিটি!

ইনিয়ে বিনিয়ে অথবা সরাসরি যদি সংশ্লিষ্ট বিভাগের বড়কর্তা আপনার চাকরি প্রাপ্তির সম্ভাবনাকে উপকার হিসেবে দেখাতে চান তবে লিখে রাখুন- চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আপনি আপনার প্রাপ্য সম্মানটি কোনওদিনই পাবেন না। করবেন এমন বসের অধীনে কাজ?  

বস সারাক্ষণ আপনাকে দেখছে

ইন্টারভিউতে কিছুই টের পেলেন না। খুশি মনে নতুন কাজে যোগ দিলেন। ধীরে ধীরে আবিষ্কার করলেন আপনার দায়িত্বের অতি তুচ্ছ থেকে মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়- সর্বত্র আপনার বস বিরাজমান। সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন সুযোগই তিনি রাখছেন না, সবখানেই নাক গলাচ্ছেন। তবে জেনে নিন, অতি টক্সিক বসের খপ্পরে আপনি পড়েছেন। পারলে বাঁচুন!  

তথ্যসূত্র: কসমোপলিটন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত