ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় চার গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় ১৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিনকে প্রধান করে চার সদস্যের গঠিত টিমকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।
বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ চারটি গাড়িতে একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দিলে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
নিহতরা হলেন– ঝালকাঠি ওস্তাখান গ্রামের শফিকুল মাঝি (৫০), গাবখান গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), নওয়াপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমান (১১), বিমান বাহিনীতে কর্মরত ইমরান হোসেন (৪০), তালগাছিয়া গ্রামের দুই সহোদর নূরজাহান (৭) ও তহমিনা (২৫), রাজাপূরের ইব্রাহিম, সাংগর গ্রামের নিপা আক্তার, উত্তর সাউদপুর গ্রামের সানিয়া বেগম, তানিয়া আক্তার, তাহমিদ রহমান, হাসিবুর রহমান ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে স্বরূপকাঠি গ্রামের রুহুল আমিন এবং দুর্ঘটনাস্থলে থাকা ভিক্ষুক শহিদুল ইসলাম।
নিহত ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন ছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রী, যাদের মধ্যে ছয়জনই একই পরিবারের সদস্য।
ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদি হাসান সকাল সন্ধ্যাকে জানান, নিহতের স্বজনরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক জানিয়েছেন, টোল প্লাজায় চার গাড়িকে ধাক্কা দেওয়া সিমেন্টবাহী ট্রাকের চালক আল আমিন ও তার সহযোগী নাজমুল শেখকে আটক করা হয়েছে।
হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ, পঙ্গুত্ব বরণকারী প্রত্যেককে ৩ লাখ ও আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।