কানাডায় আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি বড় ব্যবধানে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির কাছে হেরে যেতে পারে বলে একের পর এক জরিপে বলা হচ্ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে খবর বেরিয়েছে, নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে যাচ্ছেন ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো।
আর তেমনটা হলে তার নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে নেতৃত্ব সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ট্রুডোর পদত্যাগ নিয়ে গত সপ্তাহে প্রথম খবর ছেপেছিল কানাডিয়ান পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল। তারা বলেছিল, কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন ট্রুডো।
তবে কবে নাগাদ এই ঘোষণা আসতে পারে সে বিষয়ে সূত্রগুলো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। তাদের ধারণা, বুধবার লিবারেল পার্টির আইনপ্রণেতাদের জরুরি বৈঠকের আগেই ট্রুডোর পক্ষ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা আসবে।
ট্রুডো কি এখনই পদত্যাগ করবেন নাকি লিবারেল পার্টি তার উত্তরসূরি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, তা অবশ্য পরিষ্কার করে বলতে পারেনি দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল।
পত্রিকাটির ওই প্রতিবেদনের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স রবিবার জানিয়েছে, দলীয় নেতাদের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদে সম্ভবত আর থাকতে চাইছেন না ট্রুডো। তবে এবিষয়ে তিনি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
ট্রুডোর পদত্যাগের বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত জরিপে করুণ দশা দেখে দলীয় প্রধান ট্রুডোকে পদত্যাগ করার আহ্বান প্রকাশ্যেই জানিয়ে আসছিলেন লিবারেল পার্টির আইনপ্রণেতারা। তাদের দল দিনদিন ভারী হচ্ছিল।
২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির প্রধানের দায়িত্ব নেন ট্রুডো। তার আগে দলটি নানা ধরনের সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। কানাডার হাউস অব কমন্সে তখন লিবারেল পার্টির অবস্থান ছিল তৃতীয়।
ট্রুডো সেখান থেকে লিবারেল পার্টিকে তুলে এনে ২০১৫ সালের নির্বাচনে দলকে জয়ী করেন। নিজে হন কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী।
ট্রুডো দীর্ঘদিন কানাডার জনপ্রিয় শাসক ছিলেন, দলের ভেতরে, বাইরে-সব জায়গায়। কিন্তু বছরখানেক ধরে সেই জনপ্রিয়তা তিনি ধরে রাখতে পারছেন না।
কানাডার অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয়।