যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় দণ্ডিত হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার ঠিক ১০ দিন আগে ১০ জানুয়ারি তার শাস্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছে আদালত।
নিউ ইয়র্কের বিচারক হুয়ান মারচেন শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তখনই তিনি বলেছেন যে ট্রাম্পকে দণ্ড পেতে হবে। একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ট্রাম্পকে জেলে পাঠানো হবে না। এমনকি তাকে কোনও জরিমানা দিতে হবে না বা কোনও শর্তের আওতায়ও আনা হবে না। বরং তিনি তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেবেন।
আদেশে বিচারক এও বলেন, ১০ জানুয়ারি শুনানির দিন ট্রাম্প চাইলে সশরীরে বা ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির হতে পারেন।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে চুপ থাকতে ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ট্রাম্প ঘুষ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নথিপত্রে বিষয়টি গোপনও রাখেন ট্রাম্প।
এ ঘটনায় গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে সব অভিযোগেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
শুরু থেকেই যৌন সম্পর্কের বিষয়ে পর্ন তারকাকে চুপ থাকার জন্য ঘুষ দেওয়ার মামলাটির সমালোচনা করে আসছেন স্বয়ং ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা।
শুক্রবারও নিউ ইয়র্কের বিচারক মারচেন যখন ট্রাম্পকে আগামী ১০ জানুয়ারি দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান, সে সময়ও এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় তার প্রচার দল।
তাদের দাবি, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা ‘ভিত্তিহীন’ মামলাটি এখনই খারিজ করা উচিৎ।
বিবিসি জানিয়েছে, বিচারক মারচেনের আদেশকে ‘উইচ হান্টের অংশ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে এবং পরে পদটির গুরুদায়িত্ব পালনে যথোপযুক্ত পরিবেশ ট্রাম্পকে দেওয়া উচিত। এই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো যাবে না।
“এ ধরনের হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন ট্রাম্প।”
পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়া ও ব্যবসায়িক নথিপত্র জালিয়াতির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তার ভাষ্য, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে তার প্রচার কাজ বাধাগ্রস্ত করতেই মামলাটি সাজানো হয়েছিল।