Beta
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

ট্রাম্প-কমলা : ধনী ও তারকারা কে কার পক্ষে

Trump_Harris
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীদের প্রচারাভিযানে সেলিব্রিটিদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এবারের নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম নয়।

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা বলছে, কোনো প্রার্থীর ভোট বাড়ানো-কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের কণ্ঠ অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী ভুমিকা রাখে।

গবেষণায় বলা হয়, সেলিব্রিটিরা প্রতিদিন আমেরিকানদের ক্ষমতায়নের জন্য অনন্য ভুমিকা রাখেন। সেলিব্রেটিরা কোনও প্রার্থীকে সমর্থন করলে তাদের পক্ষে অনলাইন ভোটার নিবন্ধন এবং নির্বাচনে কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে।

গবেষক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অ্যাশলে স্পিলেন এবিসি নিউজকে বলেন, “এই মুহূর্তে তরুণ ভোটারদের মধ্যে অনেক নেতা এবং ঐতিহ্যবাহী সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তুলনামূলকভাবে কম আস্থা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেলিব্রেটিরা ব্যতিক্রম। ভক্তরা সহজেই তাদেরকে বিশ্বাস করে।”

বিষয়টি ২০২০ সালের নির্বাচনেও দেখা গিয়েছিল। তখন টেইলর সুইফট জো বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

অলাভজনক সংস্থা ভোট ডট ওআরজির মতে, টেইলর সুইফটের সমর্থনের পর তাদের সাইটে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়। ২০০৮ সালে বারাক ওবামাকে অপরাহ উইনফ্রের সমর্থনের পর ওবামা আনুমানিক ১০ লাখ ভোট বেশি পান।

এবারের নির্বাচনেও হলিউড ও ক্রীড়া জগতের অনেক সেলেব্রেটি প্রধান দুই দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিসের প্রতিই বেশি সংখ্যক তারকা সমর্থন জানান।

অন্যদিকে, শতকোটিপতিদের সমর্থন সরাসরি প্রার্থীদের ভোটার বাড়াতে কাজ না করলেও প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জোরদারে তাদের আর্থিক সহায়তা বেশ কাজে লাগে। ধনকুবেরদের সমর্থনেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন কমলা।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব মতে, এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি ধনকুবের কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়ে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন ও অর্থসহায়তা করেছেন ৫০ জনের বেশি ধনকুবের। তবে ট্রাম্পের পক্ষে সরাসরি প্রচারণায় নেমেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন যারা

বিখ্যাত গায়িকা, গীতিকার, ব্যবসায়ী ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব বিয়ন্সে গিজেলে নোয়েলস-কার্টার কমলাকে সমর্থন দিয়েছেন। ‘কুইন বে’ নামে পরিচিত বিয়ন্সেকে ২১ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়।

এছাড়া কমলাকে সমর্থন দিয়েছেন, তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা ও গীতিকার টেইলর সুইফট। গান, শৈল্পিক পুনঃউদ্ভাবন এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের জন্য পরিচিত সুইফট জনপ্রিয় সঙ্গীতের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং তরুণদের ব্যাপক আগ্রহের কেন্দ্র।

তালিকায় আরও আছেন হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস, পপস্টার লিজ্জো, গায়ক-গীতিকার ও ডান্সার উশার, গায়ক-গীতিকার ও গিটারিস্ট ব্রুস স্প্রিংস্টিন, র‌্যাপার এমিনেম, অভিনেতা স্যামুয়েল এল জ্যাকসন, অভিনেতা ও ফিল্মমেকার টাইলার পেরি, গায়ক-গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ স্টেভি ওয়ান্ডার, সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়ার ও ব্যবসায়ী ম্যাজিক জনসন, অভিনেত্রী জেনিফার গার্নার, হোস্ট ও টিভি প্রডিউসার অপরাহ উইনফ্রে, র‌্যাপার কুয়াভো, মেগান দি স্ট্যালিয়ন, পপস্টার চের, পপস্টার ভাই-বোন বিলি ইলিস ও ফিনিস, গায়িকা অলিভিয়া রদ্রিগো, অভিনেতা জর্জ ক্লুনি, পপস্টার আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, গায়িকা কেটি পেরি, অভিনেতা জেমি লি কার্টিস, র‌্যাপার কার্ডি বি, পিংক নামে পরিচিত গায়িকা অ্যালিসিয়া বেথ মুর হার্ট, গায়ক জন লিজেন্ড, সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি তারকা সিনথিয়া নিক্সন, নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক অ্যারন সরকিন, র‌্যাপার লি জন, গায়িকা পাত্তি লাবেল্লে, র‌্যাপার কমন, অভিনেত্রী ও লেখিকা মিন্ডি কালিং, স্ক্যান্ডাল তারকা ক্যারি ওয়াশিংটন, অভিনেত্রী ইভা লংগোরিয়া, অভিনেত্রী জুলিয়া লুই-ড্রেফাস, রকস্টার ফু ফাইটার্সসহ আরও অনেকে।

কমলাকে সমর্থণ দেওয়া কয়েকজন তারকা।

ফোর্বসের হিসাব মতে, আগস্ট থেকে কমলা হ্যারিসের তহবিলে যে ৮০ জন ধনকুবের অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তার মধ্যে ২৮ জন ১০ লাখ ডলার করে দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, মেটা প্ল্যাটফর্মের প্রাক্তন নির্বাহী শেরিল স্যান্ডবার্গ, প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ এবং হলিউড পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো মানুষ।

ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের বিশ্লেষণ এবং ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্যরা দামি উপহার দান করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন— বিলিওনিয়ার শার্ক ট্যাঙ্ক বিচারক মার্ক কিউবান। তিনি হ্যারিসের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার চালিয়েছেন। আর আছেন টেইলর সুইফট। তবে নির্বাচনের আগে অনুদানের প্রকৃত চিত্র দেখা যাবে না, কারণ তা ডিসেম্বরের আগে প্রকাশ করা হয় না।

বিলিওনিয়ারদের মধ্যে কমলা হ্যারিসকে অর্থসহায়তা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও আছেন- আর্থার ব্ল্যাঙ্ক, অ্যামি গোল্ডম্যান ফাউলার, নিল ব্লুহম, রিড হফম্যান, মাইকেল মরিটজ, ডেভিড ব্লিটজার, রিড হেস্টিংস, লরেন পাওয়েল জবস, মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস, শন পার্কার, টাইলার পেরি।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিল গেটস সম্প্রতি কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থনকারী একটি অলাভজনক সংস্থাকে প্রায় ৫০ মিলিয়ন (৫ কোটি) ডলার অনুদান দিয়েছেন। সংস্থাটির নাম ফিউচার ফরোয়ার্ড, যেটি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনকারী প্রাথমিক তহবিল সংগ্রহকারী একটি গ্রুপ।

তবে বিল গেটস প্রকাশ্যে কাউকে সমর্থন দেননি। নিউইয়র্ক টাইমস বিল গেটসের ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তির বরাতে জানিয়েছে, গেটস ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট যেই হোক না কেন তার সঙ্গে সহযোগিতা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে বিল গেটসের গভীর সম্পর্ক নেই। তবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।

ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন যারা

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়া তারকাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ২০২৩ সালের আলোচিত মুভি শাজাম! তারকা জাখারি লেভি।

তবে ট্রাম্পকে সমর্থন সম্পর্কে এই তারকা বলেন, ট্রাম্পকে তার সমর্থন তার ‘ক্যারিয়ারের আত্মহত্যার কারণ হতে পারে’। কারণ হলিউড ‘খুব, খুবই উদারবাদী শহর”।

এছাড়া ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়া তারকাদের মধ্যে আরও রয়েছেন- গায়ক জ্যাসন অ্যালডিয়ান, গায়ক লি গ্রিনউড, কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবল তারকা ব্রাউন ও বেল, অভিনেতা ড্যানিস কোয়াইড, গায়ক ও সঙ্গীতজ্ঞ কিড রক, রেসলিং ও রিয়েলিটি শো তারকা হাল্ক হোগান, আমেরিকান ফুটবলের কোয়ার্টারব্যাক ব্রেট ফাভরে, র‌্যাপার ও মডেল অ্যাম্বার রোজ, অভিনেত্রী, কৌতুক অভিনেতা, লেখক এবং প্রযোজক রোজেন বার সহ আরও অনেকে। কমলা হ্যারিসের চেয়ে বেশ কম সংখ্যক তারকাই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন।

বিলিওনিয়ারদের সমর্থনেও ট্রাম্প কমলার চেয়ে পিছিয়ে আছেন। তবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।

গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ঘোষণার পর মাস্ক ‘অ্যামেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আমেরিকা প্যাক)’ প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার তহবিল জুগিয়েছেন।

যে রাজ্যগুলোর ভোটাররা এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প না কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, দোদুল্যমান সেই রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্য থেকে প্রতিদিন একজনকে ১০ লাখ ডলার করে পুরস্কার দিচ্ছেন মাস্ক।

অ্যামেরিকা প্যাক থেকে একটি পিটিশন তৈরি করে মাস্ক তাতে ট্রাম্প সমর্থকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন। পিটিশনটি বাক স্বাধীনতা ও অস্ত্র বহনের অধিকার সম্পর্কিত।

পিটিশনটিতে লেখা আছে, সংবিধানের “প্রথম এবং দ্বিতীয় সংশোধনী বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং অস্ত্র বহনের অধিকার দেয়। আমি নিচে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রথম এবং দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রতি আমার সমর্থন ব্যক্ত করছি৷”

ওই পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের থেকেই প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে একজনকে ১০ লাখ ডলার করে দেওয়া হচ্ছে। গত ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম ৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত চলবে।

৭টি দ্যোদুল্যমান রাজ্য— পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, নেভাডা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন ও নর্থ ক্যারোলাইনায় এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

ট্রাম্পকে যে ৫০ জনের বেশি বিলিওনিয়ার অর্থসহায়তা দিয়েছেন তাদের মধ্যে আরও আছেন, মিরিয়াম অ্যাডেলসন, অ্যান্ড্রু বিল, আন্তোনিও গ্রাসিয়াস, রিচার্ড কার্টজ, ডগলাস লিওন, লিন্ডা ম্যাকমাহন, টিমোথি মেলন, বিল অ্যাকম্যান, মার্ক অ্যান্ড্রিসেন ও ড্যান স্নাইডার।

ট্রাম্পকে কম সংখ্যক বিলিওনিয়ার অর্থ দিলেও অন্তত ২৬ জনই ১০ লাখ ডলার করে দিয়েছেন। ফলে ট্রাম্প অর্থসহায়তা প্রাপ্তির দিক থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই।

ব্যবসায়ীদের মাঝে কমলার সমর্থনই বেশি

সম্পদ ব্যবস্থাপক ইউবিএসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ছোট কোটিপতিরাও হ্যারিসের পক্ষে। জরিপে ৯৭১ জন বিনিয়োগকারীর মধ্যে ৫৭ শতাংশ কমলা হ্যারিসকে আর ৪৩ শতংশ ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তবে অর্থনীতির ব্যাপারে তাদের ৫১ শতাংশ কমলাকে আর ৪৯ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করেন।

ওয়াল স্ট্রিটের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৯০ জনেরও বেশি কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেন। তারা বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে কমলা হ্যারিসকে নির্বাচন “আমাদের গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির অব্যাহত শক্তি, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা সমর্থন করার সর্বোত্তম উপায়।”

যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শীর্ষ ধনী কাকে সমর্থন দিয়েছেন

বিশ্বের ১০ শীর্ষ ধনীর মধ্যে বিল গেটস পরোক্ষে কমলা হ্যারিসকে, আর ইলন মাস্ক প্রত্যক্ষভাবেই ট্রাম্পকে সমর্থণ দিয়েছেন।

তবে আরেক শীর্ষ ধনী অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ট্রাম্পের প্রশংসা করলেও এখনো কাউকে সমর্থণ দেননি।

ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও কাউকে সমর্থণ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাকে হত্যাচেষ্টার পর জাকারবার্গ তাকে ফোন করে সহানুভুতি প্রকাশ করেছেন।

ট্রাম্প শুক্রবার ফক্স বিজনেসের এক সাক্ষাতকারে বলেন, “জাকারবার্গ বলেছিলেন, এটি সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল, এটি খুব সাহসী ছিল। সেদিন আমি যা করেছি তার জন্য আমাকে তিনি সম্মান করেছিলেন।”

সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন রিপাবলিকান পার্টির নিয়মিত দাতা। তবে এবার প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানির নির্বাহী ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেও গুগলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজও কাউকে সমর্থন করেননি।

সাবেক মাইক্রোসফট সিইও স্টিভ বামারও কাউকে সমর্থন দেননি। ওয়ারেন বাফেটও কারো প্রতি সমর্থন জানাননি।

গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন অতীতে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থণ দিলেও এবার কারো প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেননি। এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াংও একই পথে হেঁটেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত