পুলিশ অভিযান শুরু করায় কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত দুই কৃষককে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আগের দিন বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ওই এলাকাতেই ক্ষেতে কাজ করার সময় অস্ত্রের মুখে দুই কৃষককে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা দলবেঁধে পাহাড়ে তাদের উদ্ধারে গেলে অপহরণকারীরা স্থানীয়দের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। তবে অপহরণে জড়িত একজনকে আটক করতে সক্ষম হন স্থানীয়রা।
অপহরণের পর মুক্তি পাওয়া কৃষকরা হলেন, কম্বনিয়া পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মাবুদের ছেলে জাকির হোসেন (৪৫) ও একই এলাকার ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জহির (৫০)।
গুলির ঘটনার পর রাতেই অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি অভিযান শুরু করে র্যাবের সদস্যরা।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, “পুলিশের অভিযান শুরু হলে দুর্বৃত্তরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার ভোরে অপহৃতদের কম্বনিয়া পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী কৃষকরা নিজেদের বাড়ি ফিরে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।”
টেকনাফে আরও দুই কৃষক অপহৃত, উদ্ধারে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ৩
ওসি বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে কাজ চলছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতিও চলছে বলে জানান তিনি।
মালয়েশিয়া পাচারকালে ২ অপহৃত উদ্ধার, আটক ২
একই দিনে মালয়েশিয়া পাচার করার উদ্দেশে অপহরণের শিকার দুইজনকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানার পুলিশ। এসময় দুই জনকে আটকও করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বরে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
উদ্ধার ২ জনের নাম, মো. আকাশ (২১), রহমত উল্লাহ (১৮)। আটক পাচারকারীরা হলেন, রামুর রশিদ নগরের জসিম উদ্দিন (২০) ও একই এলাকার মো. হাসান (২৫)।
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, “গোপন সংবাদে জানতে পারি, এক রোহিঙ্গা ও স্থানীয় আরও এক যুবককে মালয়েশিয়া পাচার করার জন্য বন্দী করা হয়েছে। পরে পুলিশের একটি টিম টেকনাফ শাপলা চত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দুই যুবককে উদ্ধার করে পাচারকারী দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।”
ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।