বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দুই কর্মীকে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার পল্টন মডেল থানার করা মামলায় গ্রেপ্তার পিএসসির দুই কর্মী হলেন বিজ্ঞান শাখার অফিস সহকারী মো. আব্দুল আজিম ও পিএসসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী রুপন চন্দ্র দাস।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ের বিপিএসসি প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের পাঁচ এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর এখন পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (বাংলাদেশ রেলওয়ে) সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন ক্যাডার) পদে নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে একদল নিয়োগপ্রার্থী পরীক্ষার্থীর কাছে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে গত বছরগুলোতে বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।