গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ফাইনাল খেলেছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বে। ২২৬ দিন পর তার নেতৃত্বে আরও একটি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। টানা দুবার ফাইনালে পৌঁছানোর খুশিতে ড্রেসিংরেুমে চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি রোহিত শর্মা। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে হয়ে পড়েছিলেন আবেগপ্রবণ।
তখন দেখা যায় বিরাট কোহলিকে তার সামনে দাঁড়াতে। শরীরের হাত বুলিয়ে দিয়ে হাসানোর চেষ্টা করেন রেহিতকে। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিবেশ। ম্যাচ শেষে আবেগ দেখালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি দিলেন রোহিত, ‘‘আমাদের খুব শান্ত থাকতে হবে। মাথা ঠান্ডা থাকলে তবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ফাইনালে জিততে হলে ভাল ক্রিকেট খেলা ছাড়া উপায় নেই। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে আমরা এখন ফাইনালে। ফাইনালে আরও একবার খেলতে চাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটা।”
বিরাট কোহলি ব্যর্থ আরও একবার। সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে দলকে বিপদে ঠেলে আউট হয়েছেন ৯ রানে। তবে কোহলির পাশে দাঁড়ালেন রোহিত, ‘‘সবার ক্যারিরিয়ারেই খারাপ সময় আসে। কোহলি জাত ক্রিকেটার। সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময় কেটে যায়। ওর রান করার কতটা তাগিদ রয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছে। ফাইনালে ওপেন করবে কোহলিই।’’
আউট হয়ে ফেরার পর কোহলি ড্রেসিংরুমে বসেছিলেন সতীর্থদের সঙ্গে। কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না হতাশ কোহলি। তখন দেখা যায় কোচ রাহুল দ্রাবিড ড্রেসিংরুমে ঢুকে প্রথমে কোহলির হাঁটুতে হাত দিচ্ছেন। তারপর কোহলিকে কিছু একটা বলছেন। দ্রাবিড়ের কথার কোনও জবাব দেননি কোহলি। শুকনো মুখে শুনেছেন। কোহলির পাশে বসে থাকা বুমরা, জাদেজা, কুলদীপ যাদবদের মুখও সে সময় থমথমে দেখিয়েছে। সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
Rahul dravid went to Virat as he was looking broken after that dismissal, can't see him like this man 💔 #INDvsENG pic.twitter.com/X0nPoSdF5s
— a v i (@973Kohli) June 27, 2024
গায়ানার উইকেটে রান করা নিয়ে রোহিত জানালেন, “এই উইকেটে একটা সময় মনে হচ্ছিল ১৪০-১৫০ রান হবে। সূর্যকুমারের সঙ্গে আমার জুটি হল। তখন ভাবলাম আরও ২৫ রান করার চেষ্টা করব। আমি শুরুতে একটা লক্ষ্য নিয়ে নামি। কিন্তু কাউকে বলি না। আমি চাই, সবাই নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাক। এই পিচে ১৭০ রান করা কঠিন।”
স্পিনারদেরও প্রশংসা করেছেন রোহিত, “অক্ষর ও কুলদীপ খুব অভিজ্ঞ স্পিনার। ওরা বুদ্ধি করে বল করে। পরিকল্পনা কাজে লাগায়। আমি জানতাম, ওদের বিপক্ষে খেলা সহজ হবে না। সেটাই হল। এই জয়টা ভীষণ স্বস্তি দিয়েছে আমাকে।”