Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

বে টার্মিনালের জন্য ৬৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

ss-world-bank-290524
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

গভীর সমুদ্রবন্দরে বে টার্মিনাল উন্নয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে ৬৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অঙ্ক ৭ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দপ্তরের বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রেস্ট্রাকচার ডেভেলপেন্ট’ নামের প্রকল্পের আওতায় এই সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি।

সন্দ্বীপ চ্যানেলে এই বে টার্মিনাল নির্মিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে, ঢাকাগামী সড়কের কাছাকাছি এই টার্মিনালের অবস্থান। নতুন এই টার্মিনালে বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ কন্টেইনার উঠানো-নামানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি খরচ অনেকখানি কমে আসবে; বাড়বে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা। এর ফলে বন্দর পরিচালনা দক্ষতা ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়বে।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই বে টার্মিনাল প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি জলবায়ু-সহিঞ্চু একটি বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এই বাঁধ চলমান ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও সমুদ্রের ঢেউ ও স্রোত থেকে পোতাশ্রয় রক্ষা করা করবে। এছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে পণ্যবাহী জাহাজের সহজ যাতায়াতের জন্য চ্যানেলের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং করা হবে। বিশ্বের শীর্ষ টার্মিনাল পরিচালনাকারী কোম্পানি এই বে টার্মিনাল পরিচালনা করবে।

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দরে এসব কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় জাহাজ বন্দরে ঢুকতে পারবে এবং মালামাল উঠা-নামার সময়ও কমে আসবে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের দৈনিক ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে বলে বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে।

বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক প্রতিনিধি আবদুল্লায়ে সেক বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেক বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু এই বন্দরের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

“বে টার্মিনাল প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘গেম চেঞ্জার’ প্রকল্প হবে। এটি বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে পরিবহন ব্যয় ও সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়া এটি পণ্য পরিবহন ব্যয় কমাবে এবং বিশ্ববাজারের জন্যও এটা নতুন সুযোগ তৈরি করবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত