Beta
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫

মিয়ানমারের দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমার অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এই দুই দেশ যে ২৭১ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভাগ করে তার ওপারের পুরোটাই এখন এই গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।

আর তাই বাংলাদেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “দেশটা মিয়ানমারের আর সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আরাকান আর্মির। ফলে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি।”

সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

এরই মধ্যে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করতে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই বিশেষজ্ঞ বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরে রাখছেন। সীমান্ত এলাকায় আমাদের কোনও সমস্যা নেই। বিজিবিসহ সব বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”

রাখাইনে সংঘাতের জের ধরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন হয়নি। তাদের নতুন করে নিবন্ধিত করা হবে কিনা তা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত জরুরি। এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।

“নতুন অনুপ্রেবশ করা রোহিঙ্গারা মানবিক সমস্যায় পড়ে এসেছেন। অনেকেই এসেছেন গুরুতর আহত হয়ে। ফলে তাদের ফেরত পাঠানোও খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।”

এই রোহিঙ্গাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সফরে টেকনাফের বিজিবি ২ নম্বর ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। দমদমিয়ায় নাফ নদীর মোহনায় দাঁড়িয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করেন তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “টেকনাফ এবং টেকনাফের বদি মাদকের জন্য বিখ্যাত। এখানে মাদকের সমস্যা দীর্ঘ পুরাতন। নাফ নদীর বাংলাদেশের অংশের জালিয়ারদিয়া চরে কিছু অপরাধী ছিল। যারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করত। বর্তমান সরকার আসার পর চর থেকে তাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। মাদকও পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।”

এর জন্য সীমান্তবাসীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

নাফ নদীতে মাছ ধরা ও গরু আমদানির করিডোর চালু বিষয়টি মিয়ানমারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে বলে আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময় গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যায়। গোলা বরুদও এপারে এসে পড়ে। ফলে নাফ নদীতে মাছ ধরা এখন নিরাপদ নয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত