Beta
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

এ দেশের মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও বাংলাদেশের জন্মকে স্বীকার করেই এ দেশে রাজনীতি করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ডখ্যাত মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা যাবেন, তারাও মজলুম বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে অতীতে পরাজিত হয়েছেন, সামনেও পরাজিত হতে বাধ্য। গত মঙ্গলবার এক ফেইসবুক পোস্টে এ কথাগুলো বলেছেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর কী হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা করুন। ইতিহাস পর্যালোচনা করুন। কোনও সমস্যা নেই। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কী কী ঘটেছে, তা নিয়েও তর্ক উঠতে পারে। কিন্তু সে সবই হবে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিয়ে। কারণ যাই হোক, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, মাহফুজ আলম ঠিক কথাটিই বলেছেন।

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যে সামাজিক গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কথা-কাজ-আচরণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে এড়িয়ে চলা বা অস্বীকার করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছিল। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় যে মুক্তিযুদ্ধ, যে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, সেই অধ্যায়কে বাদ দিয়ে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানকে বড় করে দেখানোর একটা সচেতন অপপ্রয়াসও দেখা যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে মাহফুজ আলমের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণই বটে!

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যে সামাজিক গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কথা-কাজ-আচরণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে এড়িয়ে চলা বা অস্বীকার করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে অন্তবর্তীকালীন সরকার নিজেদের অবস্থান সুষ্পষ্ট করতে পারেনি। বরং এই সরকারের আমলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি অনেক বেশি দাপট দেখিয়ে চলছে। এ সরকার স্বাধীনতাবিরোধীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলে খোদ বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জামায়াতীকরণ করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে ‘বিশেষ একটি দলের সমর্থিত সরকার’ অভিহিত করে তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জামায়াতীকরণ করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে জামায়াতী চেতনার লোকজনকে বসানো হয়েছে।’

অবশ্য দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় চার মাস পর মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রথম নীরবতা ভাঙেন প্রধান উপদেষ্টা। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের যে স্বপ্ন নিয়ে রাষ্ট্রকে স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেখানে সত্যিকার অর্থে জনগণই হবেন সব ক্ষমতার মালিক।’’

অন্তবর্তীকালীন সরকার একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকুক౼ সেটাই ছিল সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। কিন্তু সরকার সেই অবস্থান থেকে অনেকখানি দূরে সরে গেছে। সবখানে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির দাপট, নেপথ্যে থেকে তারাই যেন সব কিছুর কলকাঠি নাড়ছে। আওয়ামী লীগ ভিলেন হয়েছে কর্মদোষে, কিন্তু বিএনপিকেও ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, এর একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী’’౼ জামায়াতের আমীর এমন কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। অন্যদিকে, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন যে, দেশে জামায়াতসহ বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিই কেবল রাজনীতি করবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকুক౼ সেটাই ছিল সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। কিন্তু সরকার সেই অবস্থান থেকে অনেকখানি দূরে সরে গেছে। সবখানে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির দাপট, নেপথ্যে থেকে তারাই যেন সব কিছুর কলকাঠি নাড়ছে।

জামায়াত নিজেকে যেমন ‘চ্যাম্পিয়ন দেশপ্রেমিক’ শক্তি মনে করছে, মাহফুজ আলমরাও তাদের হাতেই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি তথা ‘চ্যাম্পিয়ন দেশপ্রেমিক’ হিসেবে শিরোপা তুলে দিচ্ছেন। এ যেন দেবে আর নেবে, মেলাবে মিলিবে! কিন্তু তাই কি হয় কখনও? তেল আর জল কি কখনও মেশে? জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা কি তাহলে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে?

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয় শাহবাগ আন্দোলনের কথা। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পাশাপাশি গণজাগরণ মঞ্চের আহবানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনকে ভুলে গেলে চলবে না। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষ যেমন স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়েছে, শাহবাগ আন্দোলনেও ঠিক তাই ছিল। সেই আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যে সব মানুষ রাজাকারকে ঘৃণা করে, তারা সেদিন প্রাণের আকুতি নিয়েই শাহবাগের মিছিলে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে জাহানারা ইমামের যে ছবি উঁচু করে ধরে লাখো ছাত্রজনতা মোমবাতি জ্বালিয়েছিল, সেই স্পিরিটেরই আরেক সংস্করণ হচ্ছে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান। ‘শত্রু’ ভিন্ন হলেও দুই আন্দোলনের ক্ষেত্রেই জনসমর্থন ছিল প্রবল।

জামায়াত যে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানের পক্ষেই ছিল, এটা বিস্মৃত হলে চলবে না। সেসময় আসলে কী হয়েছিল এবং কার পক্ষে আমাদের দাঁড়ানো উচিত আর কাকে ঘৃণা করা উচিত౼ এই বোধ না থাকলে দেশে রাজনীতি করা কঠিন। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতাকারী জামায়াতকে পাশে নিয়ে যদি কেউ ‘বাংলাদেশপন্থী’ আওয়াজ তোলে, তবে সেই আওয়াজে খুব বেশি মানুষকে পাশে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

জামায়াত নিজেকে যেমন ‘চ্যাম্পিয়ন দেশপ্রেমিক’ শক্তি মনে করছে, মাহফুজ আলমরাও তাদের হাতেই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি তথা ‘চ্যাম্পিয়ন দেশপ্রেমিক’ হিসেবে শিরোপা তুলে দিচ্ছেন।

একাত্তরকে বাদ দিয়ে সত্যিই কি আমরা এগোতে পারব? উত্তরটি অবশ্যই౼না। মনে রাখতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস, আমাদের শেকড়। ব্যক্তি ও দলের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। কিন্তু দেশের প্রশ্নে সকলের এক হওয়ার ভিত্তি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার অবশ্যই সবার সামনে রাখতে হবে। তা না হলে একটি পক্ষ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের ইতিহাসকে ম্লান করবে, প্রশ্নবিদ্ধ করবে একাত্তরের সব অর্জন ও বিজয়গাথা।

ভুলে গেলে চলবে না যে, আমাদের স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষার মধ্যে ছিল অন্য কোনও রাষ্ট্রের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে স্বশাসন; স্বশাসনের মধ্য দিয়ে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যেখানে ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের সব মানুষের অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা-নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কারও প্রতি কোনোরকম বৈষম্য করা হবে না। সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে। চব্বিশের অণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাও কিন্তু এর বাইরে নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অন্তর্বর্তী সরকারকে সে আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে না। গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বিসর্জন দিয়ে ক্ষুদ্র দল ও গোষ্ঠী স্বার্থে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করার প্রবণতা যেন ক্রমেই বাড়ছে।

প্রবল অর্থনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেও এক শ্রেণির মানুষ আবার ফুলে-ফেঁপে বড়লোক হচ্ছে। সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার কোনও অঙ্গীকার নেই। উদ্যোগও নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষুদ্র জাতি-সত্তা ও ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু মানুষেরা চরম বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। থানা-পুলিশ-আইন-প্রশাসন কোনও কিছুই তাদের পক্ষে ভূমিকা পালন করছে না। ‘মব’ লেলিয়ে তাদের শায়েস্তা করা হচ্ছে।

সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা যদি প্রকট হয়, সরকার যদি হয় মৌলবাদী ও লুটেরা শ্রেণির প্রতিভূ, তাহলে আন্তর্জাতিকচক্র সহজেই তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারে। সে জন্যই বাংলাদেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চক্রের এত তৎপরতা ও আগ্রহ। তারা চায় ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে। এ কাজে এদেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সবসময়ই তারা সহযোগির ভূমিকায় পেয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও যদি সেই পথে হাঁটে, তাহলে আর বদলটা কি হলো?

গণতন্ত্রের চিরশত্রু মৌলবাদ ও সামরিকতন্ত্রকে উচ্ছেদ করার ব্যাপারে কোনও প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সংকল্প নেই। এমন মেরুদণ্ডহীন অসার রাজনৈতিক শক্তির কাছে দেশের মানুষ কী আশা করতে পারে? স্বাধীনতার সুফল তো দূরের কথা, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারেই বা তাদের ওপর কতটা ভরসা রাখা যায়?

এত রক্তক্ষয় করে শাসক বদলেই বা আমরা কী পেলাম? দুর্বল রাজনৈতিক কাঠামো এবং নেতাকর্মীদের সুবিধাবাদী মানসিকতার কারণে এদেশে শুধু যে মৌলবাদী চক্রেরই বাড়-বাড়ন্ত তাই নয়, ক্ষমতা নিয়ে মারামারি-কাড়াকাড়ির ফাঁক গলিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এজেন্টরা ভূমিকা পালনের সুযোগ পাচ্ছে। দেশবিরোধী সুযোগসন্ধানী চক্রকে শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

অথচ অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য নেই। গণতন্ত্রের চিরশত্রু মৌলবাদ ও সামরিকতন্ত্রকে উচ্ছেদ করার ব্যাপারে কোনও প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সংকল্প নেই। এমন মেরুদণ্ডহীন অসার রাজনৈতিক শক্তির কাছে দেশের মানুষ কী আশা করতে পারে? স্বাধীনতার সুফল তো দূরের কথা, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারেই বা তাদের ওপর কতটা ভরসা রাখা যায়?

অশিক্ষিত, কুশিক্ষিত জনগণের অন্ধবিশ্বাস, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সামাজিক কুসংস্কারকে মূলধন করে ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার রাজনীতি কখনোই দেশের কল্যাণ সাধন করতে পারে না౼এ সত্য বোঝা এবং বোঝানো এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

প্রয়োজন নতুন চেতনা, নতুন সংগঠন, নতুন কর্মীবাহিনী। অভ্যস্ত স্লোগান, চেনা রাজনৈতিক বুলি আমাদের কাছে ক্লিশে হয়ে গেছে। এখন বিকল্পের অন্বেষণ করতে হবে। এই বিকল্প মৌলবাদ নয়, অবশ্যই গণমানুষের পক্ষের দেশপ্রেমিক শক্তির। এইশক্তির সন্ধান করতে হবে। এই শক্তিকে গড়ে তুলতে হবে। সংশোধন ও সংস্কারের মাধ্যমে পুরনো দলেও নতুন চেতনা সঞ্চারিত করে এই শক্তির উদ্বোধন ঘটানো সম্ভব। সচেতন নাগরিক সমাজকেই এ দায়িত্ব নিতে হবে। আপাতত চিন্তার শুদ্ধতা চাই।

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: chiros234@gmail.com

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত