Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ সাক্ষাৎকারে যা বললেন বাইডেন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন জো বাইডেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন জো বাইডেন।
[publishpress_authors_box]

বয়স আশির কোঠায়, তার ওপর মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ-সব মিলে গত নভেম্বরের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত অংশ নেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নির্বাচনে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে হেসেখেলে জয় পান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজে বাইডেন আছেন হাতেগোনা আর কটা দিন। ২০ জানুয়ারি সেখান থেকে তাকে বিদায় নিতে হবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর পর কোনও সংবাদ সম্মেলনে আসেননি বাইডেন। সবশেষ গত জুলাইয়ের ২১ তারিখে তাকে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে দেখা গেছে।

হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার আগে বুধবার ইউএসএ টুডের মুখোমুখি হন ৮২ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সম্ভবত এটাই তার শেষ সাক্ষাৎকার।     

ইউএসএ টুডের ওয়াশিংটন ডিসির ব্যুরো প্রধান সুসান পেইজকে দেওয়া বিশেষ এই সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পকে তিনি হারাতে পারতেন বলে মনে করেন।

অবশ্য নির্বাচিত হলে আরও চার বছর দেশ পরিচালনা করার মতো দম তার থাকত কি না, সে বিষয়ে নিঃসংশয় নন বাইডেন।  

তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাকই চলছে। কিন্তু ৮৬ বছর বয়সে আমার অবস্থা কেমন দাঁড়াবে, তা কে জানে?”

নির্বাচনে শুরুতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বাইডেন যুক্তি দেন, “ট্রাম্পকে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখে ভাবলাম, এবারও তাকে আমি হারাতে পারব। তবে এও ঠিক, নির্বাচিত হলে ৮৫ বা ৮৬ বছর বয়সে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব টেনে নেওয়ার ইচ্ছে আমার ছিল না। আমি ঠিক জানি না, কী হতো। কেই বা জানে?”

দলীয় নেতাদের চাপে জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন।

গত ১২ ডিসেম্বর নানা অপরাধে অভিযুক্ত এমন দেড় হাজার ব্যক্তির সাজার কমান বাইডেন। ক্ষমা করেন ৩৯ জনকে। এদের মধ্যে তার নিজের ছেলে হান্টার বাইডেনও আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনও প্রেসিডেন্ট এর আগে একদিনে এতজনের সাজা কমাননি বা ক্ষমা করেননি।

বাইডেন ও তার সহযোগীরা এখন হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগ মুহূর্তে এমন আরও কয়েকজনকে ক্ষমা (প্রি-এমপটিভ পারডন) করার কথা ভাবছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর তার রোষানলে পড়ার আশঙ্কা আছে।

এই আশঙ্কা একেবারে অমূলকও নয় কারণ ট্রাম্প নিজেই পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর একাধিকবার বলেছেন, যারাই তাকে ক্ষেপিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা তার রয়েছে।

এমনকি জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের জেলে পোরার অভিপ্রায়ের কথাও সোশাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

এই প্রসঙ্গে ইউএসএ টুডেকে বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (এনআইএআইডি) সাবেক পরিচালক অ্যান্থনি ফাউচি, কংগ্রেসে রিপাবলিকান পার্টির সাবেক নেতা লিজ চেনিসহ আরও কয়েকজন, যাদের ট্রাম্প শত্রুজ্ঞান করেন, তাদের প্রি-এমপটিভ পারডনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

নির্বাচনের পর বৈঠকে বসেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “নভেম্বরের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে সম্ভাব্য ব্যক্তিদের ক্ষমা করার বিষয়ে আমি কোনও রাখঢাক রাখিনি, বেশ সোজাসাপটাই ছিলাম তার কাছে।

“আমি ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বলেছিলাম, অতীতের ঘটনা মনে করে কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়া বিবেচনাপ্রসূত কাজ হবে না। তিনি আমার কথার বিরোধিতা করেননি; কেবল চুপচাপ শুনে গেছেন।” 

তথ্যসূত্র : বিবিসি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত